আওয়ার ইসলাম: পৃথিবীর সব মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মাধুর্য চরিত্রের অধিকারী হলেন হজরত মুহাম্মদ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম । মানব জাতির প্রত্যেক বিষয়ের উপযোগী শিক্ষা দিয়েছেন তিনি। তিনি শিক্ষা দিয়েছেন ঘুমের পরিশুদ্ধ পদ্ধতির। আসুন জানি, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুম থেকে উঠে যে কাজগুলো করতেন-
এক. ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর দুই হাতে চোখ মুখ মৃদু কচলাতে হবে, যেন ঘুমের প্রভাব দূর হয়ে যায়। আল্লাহর রাসূল তাই করতেন। (শামায়েলে তিরমিযী)
দুই. প্রত্যুষে নিদ্রাভঙ্গ হওয়ার পর এই দোয়া পড়তে হয়—
হুজায়ফা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসুল সা. রাতে যখন শয্যায় যেতেন গালের নাবালে হাত রাখতেন। তারপর বলতেন ‘আল্লাহুম্মা বিইছমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।’ ঘুম থেকে যখন উঠতেন বলতেন الحمد لله الذي أحيانا بعد ما آمائنا واكبه النشور . ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহ ইয়ানা বাদামা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর’।” (বোখারি ৬৩১৪)।
অর্থ : সকল প্রশংসা সেই আল্লাহ তা’আলার, যিনি (সাময়িক) মৃত্যু থেকে আমাদিগকে পুনরায় জীবিত করেছেন। আর আমাদের সকলের শেষ গন্তব্য তারই দিকে। (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ)
তিন. নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেসওয়াক করা উচিত। (মুসনাদে আহমদ, আবু দাউদ) অতঃপর অযু করার সময়ও মেসওয়াক করতে হবে। নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়ার সাথে সাথেই মেসওয়াক করা একটি স্বতন্ত্র সুন্নত। (ব্যলুলমজহুদ, শরহে আবু দাউদ ১ম খণ্ড)
চার. পাজামা-সেলওয়ার জুতা পরিধান করার সময় প্রথমে ডান পা এবং অতঃপর বাম পা ঢুকাবে। জামা পরিধান করার সময় প্রথমে ডান হাত আস্তিনে এবং পরে বাম হাত আস্তিনে ঢুকাবে। | আবার পােশাক-জুতা ইত্যাদি খােলার সময় বাম দিক থেকে শুরু করবে। (বুখারী, তিরমিযী, লেবাস অধ্যায়)।
পাঁচ. মুখ পরিষ্কারের জন্য ঘুম থেকে উঠে মিসওয়াক করা আবশ্যক। মুহাম্মদ সা. মিসওয়াক করতেন। হুজায়ফা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয়ই রাসুল সা. রাতে ঘুম থেকে জাগার পর মিসওয়াক দ্বারা নিজের পবিত্র মুখ ও হাত পরিষ্কার করতেন। (আবু দাউদ ৫৫)।
আরএম/