সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

শিশুদের নামাজি বানাতে মসজিদেই শিশুপার্ক তৈরি ইমামের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম ♦

শিশুদের নামাজ ও কুরআন শিক্ষার প্রতি আকৃষ্ট করতে মসজিদের সঙ্গেই ছোটখাটো একটি শিশুপার্ক গড়ে তুলেছেন তুরস্কের কোকেলি প্রদেশের বাসিসকেলে জেলার একটি মসজিদের ইমাম। এ ঘটনায় দেশটিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

ডেইলি সাবাহর বরাতে জানা যায়, গ্রীষ্মকালীন কুুরআন ক্লাসে শিশুদের কম উপস্থিতি দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন শহরের মারকেজ মসজিদের ইমাম মাওলানা কাদির সেলেকিজ।

এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের নামাজ ও কুরআন ক্লাসের প্রতি আকৃষ্ট করতে মসজিদের সঙ্গে নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলেন একটি মিনি শিশুপার্ক।

ইমামের এমন উদ্যোগে এলাকায় সাড়া ফেলে। কুরআন শিক্ষার পাশাপাশি বিনোদন ও খেলাধুলার সুযোগ থাকায় মসজিদে শিশুদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। ১০ বছর ধরে মসজিদটিতে ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন কাদির সেলেকিজ। এ শিশুপার্কটি গড়ে তুলতে তিনি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সহায়তা নেন।

আরো জানা যায়, প্রতি সোমবার ক্লাস শেষে শিশুদের জন্য ইসলামি নাটকও পরিবেশিত হয় এখানে। শিশুদের পপকর্ন এবং চকলেটও উপহার দেওয়া হয়। ইমামের এমন প্রশংসিত উদ্যোগে মসজিদটিতে শিশুদের সংখ্যা এক বছরেই ৩০ জন থেকে ১৫০ জনে উঠে আসে। পরবর্তী বছরের জন্য রেকর্ডসংখ্যক ২৫০ জন শিশুর নাম রেজিস্ট্রেশন হয়।

কাদির সেলেকিজ বলেন, আমাদের শিশুকালে আমরা মসজিদে খেলতাম আর বড়রা নামাজ পড়ত। অনেক সময় তারা আমাদের বকাবকি করত। সে সময় এটি আমাকে আহত করত। পরবর্তীতে আমার যখন সুযোগ আসল, তখন আমি উদ্যোগ নিলাম শিশুদের খেলাধুলার মাধ্যমে মসজিদের প্রতি আকৃষ্ট করে তুলতে।

বাড়ি থেকে মসজিদ দূরে হয়ে যাওয়ায় নিয়মিত নামাজে এবং ক্লাসে আসত না অনেক শিশু। তবে খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দেওয়ার পর অনেকেই এখন আগ্রহী হওয়া শুরু করেছে বলে তিনি জানান। সূত্র: ডেইল সাবাহ

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ