সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

ইহরাম ভেঙে যায় যে কারণে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আব্দুল্লাহ আফফান: সামর্থবান পুরুষ ও নারীর জন্য হজ জীবনে একবার ফরজ। হজ ও ওমরার প্রথম ফরজ কাজ হলো ইহরাম। ইহরামের মূল উদ্দেশ্য হলো, দুনিয়ার সব চাকচিক্য সাজ-সজ্জা থেকে নিজেকে বিরত রেখে একান্তভাবে আল্লাহর দিকে ধাবিত হওয়া।

ইহরাম অবস্থায় অনেক কাজ আছে যেগুলোর জন্য ইহরাম ভেঙে যায়, অনেক কাজ আছে সেগুলোর জন্য ইহরাম ভাঙে না কিন্তু ফিদইয়া ওয়াজিব হয়। কেউ যদি নিজের অজ্ঞতাবশত কিংবা ভুলে বা ঘুমের ঘোরে ইহরামের জন্য নিষিদ্ধ কাজ করে ফেলে, তবে তার জন্য যেমন কোনো গোনাহ নেই আবার এর জন্য ফিদইয়াও দিতে হবে না।

হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের জন্য ইহরামের নিষিদ্ধ বিষয়গুলো থেকে হেফাজত থাকা জরুরি। আসুন জেনে নেই যেসব কাজ ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ

ইহরাম অবস্থায় সেসব কাজ নিষিদ্ধ- ১. ইহরামের কাপড়ে সুগন্ধি ব্যবহার করা। তবে দেহে সুগন্ধি ব্যবহারে দোষ নেই। ২. স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের জন্যই মাথার চুল এবং যে কোনো উপায়ে শরীরের যে কোনো স্থানের পশম ওঠানো। ৩. হাত ও পায়ের নখ কাটা। ৪. পশু-পাখী কিংবা যে কোনো প্রাণী শিকার করা। এমনকি শিকার ধরতে শিকারিকে ইশারা-ইঙ্গিতে সহযোগিতা করা। তবে ক্ষতিকর হিংস্র জীব-জন্ত বা পাণী মারার অনুমতি রয়েছে।

৫. যাবতীয় যৌনচার, ও যৌন মিলন একেবারেই নিষিদ্ধ। কারণ যৌনাচারের কারণে ইহরাম ভেঙে যাবে। ফলে পুনরায় ইহরাম বাধতে হবে। নতুবা হজ ও ওমরা হবে না। এছাড়াও বিয়ের প্রস্তাব, বিয়ের আকদ বা যৌন আলোচনা করাও নিষেধ। ৬. পুরুষের জন্য পাগড়ি, টুপি ও রুমাল ব্যবহার করা। তবে প্রচণ্ড গরম কিংবা বৃষ্টিতে ছাতা বা ছাতা সাদৃশ্য জিনিস ব্যবহার করায় দোষ নেই।

৭. পুরুষের জন্য কোনো প্রকার সেলাই করা কাপড় পরা। হতে পারে তা জুব্বা, পাঞ্জাবি, শার্ট, গেঞ্জি ও মোজা ইত্যাদি সেলাই করা কাপড় পরা। তবে তালি বা পট্টি লাগানো ইহরামের কাপড় পরায় কোনো দোষ নেই। ৮. নারীদের জন্য মুখ ঢাকা এবং হাত মোজা ব্যবহার করা। তবে নারীরা মুখ থেকে কাপড় আলাদা রাখতে হেলমেট ব্যবহার করে নিকাব পড়ায় কোনো দোষ নেই। কেননা পর পুরুষের সামনে মুখ ঢেকে রাখা ওয়াজিব। ৯. ইহরাম অবস্থায় ঝগড়া-বিবাদ করা এবং ইসলামি শরিয়ত বিরোধী যে কোনো বাজে কথা বলা ও বাজে কাজ করা।

-এএ


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ