রকিব মুহাম্মদ: কওমি মাদরাসা থেকে মুতাওয়াসসিতা ((নাহবেমীর জামাত) উত্তীর্ণ ব্যতীত আলিয়া মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ছাত্ররা চলতি শিক্ষাবর্ষে ফজিলত (মেশকাত জামাত) কিংবা দাওরায়ে হাদীসে (তাকমিল জামাত) ভর্তি হয়েছে, কোনভাবেই তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
পাশাপাশি এ ধরণের ‘অছাত্র’ ভর্তি নেওয়া মাদরাসার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারাসিরিলি আরাবিয়া বাংলাদেশ ।
এ ব্যাপারে বেফাকুল মাদারাসিরিলি আরাবিয়ার মহাপরিচালক মাওলানা যোবায়ের আহমেদ চৌধুরী আওয়ার ইসলামকে জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষের শুরুতে এ মর্মে বেফাক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে আলিয়া মাদরাসাকিংবা স্কুল থেকে আগত ছাত্রছাত্রীদের সর্বোচ্চ মুতাওয়াসসিতা মারহালা পর্যন্ত ভর্তি করা যাবে বলে মাদরাসাগুলোকে অবগত করা হয়।
বেফাক মহাপরিচালক জানান, সাথেসাথে ফজিলত ও তাকমিল মারহালায় ভর্তিচ্ছুকদের মুতাওয়াসসিতা মারহালায় পড়াশোনার প্রত্যয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে ভর্তি করার কথাও উল্লেখ করা হয় সেখানে। যেসব মাদরাসা বেফাকেরে এই আইন লঙ্ঘণ করে অছাত্রদের ভর্তি করেছে তাদের বিরুদ্ধে বেফাক কর্তৃপক্ষ কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলেও জানান তিনি।
আইন লঙ্ঘণকারী মাদরাসার বিরুদ্ধে কী ধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে – এমন প্রশ্নে মাওলানা যোবায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, “আমরা ওই সমস্ত মাদরাসার নিবন্ধন বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারি। তবে এটি অফিসিয়ালি কোন সিদ্ধান্ত নয়।”
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন বেফাক মহাপরিচালক মাওলানা যোবায়ের আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আলীয়া মাদরাসা/স্কুল থেকে আগত ছাত্রছাত্রীদেরকে সর্বোচ্চ মুতাওয়াসসীতা মারহালা পর্যন্ত ভর্তি করা হবে। কোন কওমি মাদরাসায় মুতাওয়াসসিতা হতে পড়াশুনা করেছে বলে প্রত্যয়ন পত্রের মাধ্যমে যাচাই ব্যতিত কোন ছাত্র-ছাত্রী ফযিলত ও তাকমিল জামাতে ভর্তি করা যাবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যদি কোন মাদরাসা এদেরকে ভর্তি করে অথবা পরীক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধন করে তাহলে উক্ত মাদরাসার ক্ষেত্রে বেফাক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।
আরএম/