আওয়ার ইসলাম: মায়ের অসুস্থতার কারণে সঠিক সময়ে ভর্তির যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে না পারায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভর্তি হতে পারেনি ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের প্রমিত রাউত তূর্য নামক এক শিক্ষার্থী। তাই অনেক দৌঁড়ঝাপ শেষে অনশনে বসেছেন ভর্তি বঞ্চিত ওই শিক্ষার্থী।
আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুর ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা চত্বরে অনশনে বসেন ওই শিক্ষার্থী। পরে দুপুর ১২টায় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়ে তাকে নিয়ে আসেন প্রক্টর অফিসে।
অনশনে বসা সেই শিক্ষার্থীর ভাষ্যমতে, আমি এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পরিসংখ্যান বিষয়টি পাই এবং ডিপার্টমেন্টের এসআইএফ ফর্ম পূরণ করে ৩৫০০ টাকা জমা দেই। পরে ব্যাংকে ফর্মটি জমা দেওয়ার আগেই আমার অসুস্থ মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
মার ব্রেইন টিউমারের কারণে ভারতের চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায় আমি ব্যাংকে নির্ধারিত ৫০৭০ টাকা জমা না দিয়েই বাড়িতে চলে যাই। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। কিন্তু আমি ক্যাম্পাসে ১০ তারিখ ফিরে আর টাকা জমা দিতে পারিনি।
আমি আমার বিভাগে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করলে বিভাগ থেকে আমাকে ডিন অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
কিন্তু ডিন অফিস আবার পাঠায় ডেপুটি রেজিস্ট্রার স্যারের কাছে। এভাবে অনেক ঘোরাঘুরির পর এখনো কোনো সঠিক সমাধান আমি পাইনি। যার ফলে আমার ভর্তি এখনো নিশ্চিত হয়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (একাডেমিক শাখা) এসএম আকবর হোছাইন বলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের তিন শিক্ষার্থীর বিষয়ে শুনেছিলাম।
দুজন ভর্তি হয়েছে, কিন্তু ওই শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের পর যোগাযোগ করেনি। আর ভর্তি ফি জমা না দিলে অটোমেটিক ভর্তি বাতিল হয়ে যায়। এরপর অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের থেকে খালি আসনগুলো পূরণ হয়ে যায়। ওই শিক্ষার্থী সঠিক সময়ে যোগাযোগ করেনি।
-এটি