সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মোবাইলের আসক্তিসহ যেসব অভ্যাস দৃষ্টিশক্তি কমায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আব্দুল্লাহ আফফান: বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমা অনেকটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সময়ের আগেই তা কমতে থাকা দুশ্চিন্তার কারণ। দৈনন্দিন জীবনে আমাদেরই কিছু ভুল তৈরি করছে এ সমস্যা। কখনও নিজেদের অজান্তে আবার কখনও কিছু অভ্যাসের দায়ে চোখের ক্ষমতাকে কমিয়ে ফেলছি আমরা।

ধূমপানে আসক্তি, কেবল হার্ট নয়, থাবা বসাচ্ছে আপনার চোখেও। ক্যাটারাক্ট তো বটেই, বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশানকেও (রেটিনার অসুখ) ত্বরান্বিত করে। দৃষ্টিশক্তি কম হওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে ধূমপানকেই চিহ্নিত করছেন চিকিৎসকরা।

স্মার্টফোন, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ফেসবুকে তর্ক-বিতর্কে মত প্রদান, এ সব আজকাল জীবনের অঙ্গ। বাদ দেয়া যায় না পুরোপুরি। বিশেষ করে রাতে আলো নিভিয়ে চোখের কাছে মোবাইল রেখে তাতে সিনেমা দেখা বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চ্যাট, কাড়ছে দৃষ্টি।

চিকিৎসকদের মতে, সারাদিনে এমন অনেক অভ্যাস আছে যা দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা তৈরি করে। যেসব অভ্যাসের কারণে দৃষ্টিশক্তি কমছে সেসব অভ্যাসে রাশ টানলে দৃষ্টিশক্তি কমানোকে অনেকটাই আটকানো যায়।

১. অতিরিক্ত রোদে অনেকে স্নানগ্লাস ব্যবহার করেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি চোখের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করতে পারে। এ কারণে অতিরিক্ত রোদে বের হলে চোখে স্নানগ্লাস ব্যবহার করা উচিত।

২. যারা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে অনেকেই সারাদিন ব্যবহারের পর রাতেও লেন্স পরে ঘুমাতে যান। বিশেষজ্ঞদের মতে, টানা দুইদিন কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করলে চোখের সংক্রমণ হতে পারে। এমনকী নিজের লেন্স অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করলেও সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। এতে দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা তৈরি হয়।

৩. ঘন ঘন চোখ ডলার অভ্যাস মোটেও ভাল নয়। আপাতদৃষ্টিতে এটি ক্ষতিহীন মনে হলেও এমন অভ্যাসে চোখে ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু ছড়িয়ে যেতে পারে। এছাড়া বেশি ডলার কারণে চোখ লাল হয়ে যাওয়া এবং কর্ণিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিরও আশঙ্কা থাকে।

৪. মেয়াদোত্তীর্ণ চোখের মেক-আপ ব্যবহার করলে তা চোখের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, চোখের কোনও মেক-আপ ৯ মাসের বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়। ৫. ফুসফুস ও দাঁতের ক্ষতি ছাড়া দীর্ঘদিন ধূমপানের কারণে দৃষ্টিশক্তিরও ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

৬. বেশিরভাগ মানুষ বড় কোনও সমস্যা হলে তখনই চিকিৎসকের কাছে যান। কিন্তু অল্প সমস্যা থাকতেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। তাহলে হয়তো চোখ বিষয়ক জটিলতা কিছুটা কম হবে। যদি আপনার দেখতে বা পড়তে কোনও ধরণের সমস্যা হয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৭. রাতে ঘুম না হলে বা একটানা কাজ করলে চোখ লাল হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকে এ ধরণের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই চোখের ড্রপ ব্যবহার করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন অভ্যাস চোখের সংক্রমণের আশঙ্কা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

চোখের অসুখ থাকলে তো সময় অনুযায়ী চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে। অসুখ না থাকলেও বছরে দু’বার চক্ষুবিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া খুবই প্রয়োজন। এ কাজে অবহেলা করবেন না।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ