আওয়ার ইসলাম: পাবলিক পরীক্ষায় পূর্ণমান ১০০-এর বিপরীতে পাস নম্বর ৪০ নম্বর নির্ধারণ করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে পাবলিক পরীক্ষাল ফল প্রকাশের পদ্ধতিতেও আনা হচ্ছে পরিবর্তন।
বর্তমান গ্রেডিং সিস্টেম যুগোপযোগী করে সর্বোচ্চ ফল (গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ-জিপিএ) ৫ এর পরিবর্তে ৪ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে 'এ প্লাস' বলতে কিছু থাকবে না। পরীক্ষার ফলের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সমতা রাখতেই এসব পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, গ্রেড পদ্ধতি চালু হওয়ার পর পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার বাড়ছে। পাশাপাশি নতুন এ ব্যবস্থায় উত্তরপত্রে শিক্ষকদের নম্বর দেয়ার প্রবণতায় আগের থেকে বেড়েছে। পরীক্ষার্থীরা এখন পরীক্ষায় আগের চেয়ে বেশি নম্বর পাচ্ছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০ করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে পাবলিক পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন সাবেক শিক্ষাসচিব মুহা. নজরুল ইসলাম খান। এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ ব্যাপারে সাবেক শিক্ষা সচিব মুহা. নজরুল ইসলাম খান জানান, গত এক দশকে এসএসসি, এইচএসসিসহ সব পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার বাড়ছে। কিন্তু শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অভিযোগ করে আসছেন, পাসের হার ও জিপিএ-৫ বাড়লেও শিক্ষার মান সেই অর্থে বাড়ছে না।
এসব কারণে গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নানা ধরনের প্রশ্ন তুলে আসছেন। একলাফে নয়, চার ধাপে বাড়ানো উচিত পাস নম্বর বলে জানান তিনি।
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা এটি নিয়ে কাজ করছেন বর্তমানে। আগামী ২৬ জুন এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পেশ করবেন তারা।
এর আগে ১২ জুন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির উপস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সব শিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ে গঠিত আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানই উপস্থিত ছিলেন।
-এএ