আওয়ার ইসলাম: সীমান্তে হত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়াকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে দাবি করেছেন ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক (ডিজি) শ্রী রজনীকান্ত মিশ্রা।
চারদিন ব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন শেষে শনিবার (১৫ জুন) সকালে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে উভয় দেশের প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএসএফ ডিজি এ দাবি করেন।
রজনীকান্ত মিশ্রা বলেন, হত্যার ঘটনা কেন বেড়ে গেছে-তা আমরা খতিয়ে দেখছি। সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে আমাদের বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ ডিজি বলেন, ২০১০ সালে সীমান্তে ফেলানী নামে এক কিশোরী হত্যার ঘটনায় ৫ বিএসএফ সদস্য কোর্টের বিচারাধীন রয়েছেন (আন্ডার কোর্ট ট্রায়াল)।
বিজিবি ডিজি মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত এলাকায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। সীমান্তের যেসব এলাকায় গবাদি পশু ও মাদক চোরাচালান হয়ে থাকে সেসব স্থানে সমন্বিত যৌথ টহল পরিচালনাসহ যৌথ কার্যক্রমের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সীমান্ত এলকায় বসবাসরতদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সীমান্তে হত্যা ঘটনা শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনতে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে কাজ করা হচ্ছে।
সম্মেলনে উভয়পক্ষ সীমান্তে নতুন ক্রাইম ফ্রি জোন চালুর আশাবাদ ব্যক্ত করে কুমিল্লা এলাকায় দ্বিতীয় ক্রাইম ফ্রি জোন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে চার দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়। সীমান্তে সম্মেলনে বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন।
-এএ