আওয়ার ইসলাম: ভারতের চিকিৎসকদের আন্দোলনে অনেকটা উত্তাল রূপ নেয়ার জন্য মমতা ব্যানার্জিকে দায়ী করেছেন ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
হর্ষ বর্ধন বলেছেন, মমতার উচিত ছিল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। তার বদলে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন, যাতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। এটাকে প্রেস্টিজ ইস্যু না করার জন্য মমতাকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এর আগে গত সোমবার কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে জুনিয়র ডাক্তারদের হয়রানি করেন রোগীর আত্মীয়রা। এতে এক জুনিয়র ডাক্তার মাথায় গুরুতর আঘাত পান। এরপর থেকেই কর্মবিরতি শুরু হয়।
মঙ্গলবার থেকে সেই আন্দোলনে যুক্ত হয় পশ্চিমবঙ্গের সব মেডিকেল কলেজ। টানা কর্মবিরতিতে অচল হয় সেগুলো। তাদের দাবি ছিল কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হস্তক্ষেপ এবং ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস।
গত বৃহস্পতিবার মমতা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ না দিলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন। এরপরই পশ্চিমবঙ্গের একের পর এক সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের গণপদত্যাগ শুরু হয়।
দাবি করা হয়, মমতা ব্যানার্জিকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। এর জেরে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের চিকিত্সা হলেও বন্ধ রয়েছে আউটডোর চিকিত্সা। অভিযোগ ইতিমধ্যেই চিকিত্সার অভাবে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
এরই মধ্যে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, কেরালা, পঞ্জাব, বিহার, আসামসহ প্রায় সব রাজ্যের মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা আন্দোলনে সামিল হন। মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে প্রতিবাদ জানান দিল্লির এইমস-এর চিকিৎসকরা।
তারই মধ্যে ভারতের হাসপাতালগুলোতে হরতালের ডাক দিল ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। এ আন্দোলনের কারণে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় রোগীদের চাপ বেড়েছে। অনেক চিকিৎসক মানবিক কারণে হাসপাতালের বাইরে বিনা পয়সায় রোগী দেখে দিচ্ছেন।
-এএ