আওয়ার ইসলাম: ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে দুর্নীতির বার্ষিক বরাদ্দপত্র বলে উল্লেখ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
আজ সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিশাল অংকের বাজেট দিয়ে অর্থমন্ত্রী গৌরববোধ করলেও সাধারণ জনগণ এর কতভাগ সুফল পাবে তা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
বাজেট প্রস্তাবনায় কথার ফুলঝুরি ও মিথ্যা আশ্বাসে ভরা লোক দেখানো মনতুষ্টির নিষ্ফল প্রয়াস চালানো হলেও একথা স্পষ্ট, বিগত সরকারগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারের বাজেটেও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের লুটপাটের সুবিধার দিকে লক্ষ্য রেখে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া জনগণের ট্যাক্সের টাকায় দেশ-বিদেশী লুটপাটকারীদের পকেট ভারী করার বাজেট।
তিনি বলেন, এবারের বাজেটে পরোক্ষ করের পরিমাণ ও মাত্রা বাড়িয়ে এবং বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাঁধে বিশাল ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। বাজেটের বিশাল অংশ সরকারদলীয় এমপি ও নেতাকর্মীদের পকেটে যাবে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন পীর সাহেব চরমোনাই।
বাজেটে বরাবরের মত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখায় দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন।
পীর সাহেব বলেন, এ বছরের বাজেটে জনগণের উপর করের বোঝা চাপানো হচ্ছে, যা জনগণকে চরমভাবে নিষ্পেষণ করার নামান্তর। জনগণের উপর করের বোঝা চাপানোর চক্রান্ত চলছে। অন্যদিকে দেশবান্ধব বাজেটের পরিবর্তে দলবান্ধব বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বর্তমান সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা কত বেশি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। আর এ দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীদের রক্ষার কথা মাথায় রেখেই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পীর সাহেব আরও বলেন, এ বাজেটে গণমানুষের প্রত্যাশা পুরণ হয়নি। ধনী ও সুবিধাভোগী শ্রেণির কথা চিন্তা করেই এ বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কোনও উপকার হবে না। প্রস্তাবিত বাজেটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ওপর নতুনভাবে ঋণ ও করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত এ বাজেটের কারণে অর্থনীতি পুরোপুরি ঋণনির্ভর হয়ে পড়বে।
-এএ