রবিউল ইসলাম : বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক) এর ৪২ তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে মাদরাসা দাওয়াতুল কুরআন-এর শিক্ষার্থীরা ৷ পূর্বের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এ বছরও শতভাগ পাশের পাশাপাশি রয়েছে মাদরাসাটির বড় রকমের অর্জন ৷
এবার ইবতেদাইয়্যাহ (প্রাইমারি) মারহালায় ১১ জনের মধ্যে ৬ জন পরীক্ষার্থীই মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। তারা হলেন মুহা. মাইনুল ইসলাম ৩৫তম। নুর শাফী ৪৭তম। জুনাইদ ৫১তম। ইয়াসিন ৬১তম, আল-আমিন ৬৭তম ও শফিউল বাশার ৭৭তম স্থান লাভ করেছে। আর মুতাওয়াসসিতা (নিম্ন মাধ্যমিক) মারহালায় ১৫ জনের মধ্যে ৭ জন মুমতাজ (A+) সহ সেরা মেধা তালিকায় ৪৫ তম স্থান অধিকার করেছে মুহা. হেলাল উদ্দীন। এ ছাড়া সানাবিয়া উলইয়া (উচ্চ মাধ্যমিক) ও ফজিলত (স্নাতক) বিভাগে একাধিক পরীক্ষার্থী মুমতাজ তথা স্টার মার্ক লাভ করেছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন ভুইগরে (রুপায়ন টাউন সংলগ্ন) অবস্থিত ‘মাদরাসা দাওয়াতুল কুরআন’। বর্তমানে মাদরাসাটি ফজিলত (স্নাতক) বিভাগ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে৷ মাদানী নেসাব ও বেফাক সিলেবাসের সমন্বয়ে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি বেফাক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের প্রথম বছর থেকেই ধারাবাহিক সফলতা ধরে রেখেছে।
মাদরাসা দাওয়াতুল কুরআন এর এ ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জনে মহান আল্লাহ তাআ'লার শুকরিয়া আদায় করে মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা মামূনুর রশীদ বলেন, ‘এটা মহান আল্লাহ তাআ'লার অশেষ মেহেরবানি৷ আমাদের পক্ষ থেকে সাধ্যাতীত প্রচেষ্টা ছিল৷ মহান আল্লাহ তাআ'লা আমাদের প্রচেষ্টা কবুল করেছেন৷ এ জন্য আমি আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি এই সাফল্যের প্রথম কৃতিত্ব দিচ্ছি মাদরাসার সকল উস্তাদদের৷ যাদের নিরলস প্রচেষ্টা, সার্বক্ষণিক নেগরানী ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমাদের ছাত্ররা ধারাবাহিক উন্নতি করে চলছে ।’
ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামি দিনে সকলেই নিজেদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে৷ দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে লক্ষ নির্ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে৷ জীবনের প্রতিটি সেক্টরে সাহাবায়ে কেরামের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে। তবেই সাফল্য তোমাদের পদচুম্বন করবে ইনশাআল্লাহ।’
ইতিমধ্যে মাদরাসার পুরাতন ছাত্রদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ৭ শাওয়াল থেকে ২০১৯-২০ইং নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি নেয়া শুরু হবে।
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর ৪২তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় তাকমিল (এম.এ.) ব্যতিত ৬টি স্তরে মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৮০ জন অংশগ্রহণ করে। এর মাঝে উত্তীর্ন পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫২ জন।
বি.দ্র. আপনার মাদরাসার ভালো রেজাল্টের খবর জানাতে পারেন আমাদের। আমরা গুরুত্ত্বসহ আপনার প্রতিষ্ঠানের সংবাদ করবো।
এমডব্লিউ/