মোস্তফা ওয়াদুদ: ৯/১১ এ টুইন টাওয়ার হামলা পরিকল্পিত ছিলো বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আমেরিকার সাবেক গোয়েন্দা এজেন্ট ম্যালকম হাবার্ট। তিনি নিউ জার্সির হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এমন চাঞ্চল্যকর বিষয়ে মন্তব্য করলেন। জীবনের শেষ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে থাকা হাবার্ট বলেন, তার কাছে সময় বেশি নেই। তিনি স্বীকারোক্তি দিতে চান যে, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার ষড়যন্ত্রে তারা জড়িত ছিলেন৷ গত ২০ জুলাই ২০১৭ সালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এতদিন সেটি গোপন থাকলেও এখন তার ব্যক্তিগত ডাক্তার এটি প্রকাশ করেন।
প্রাক্তন এই এজেন্ট সিআইএতে একজন অপারেটর হিসাবে বহুবছর কাজ করেছেন৷ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে ৮০-র দশকের শুরুতে সিআইএতে যোগ দিয়েছিলেন হাবার্ট৷
তিনি নিজের স্বীকারোক্তিতে বলেন ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সিআইএর সঞ্চালনা কমিটিতে তিনি কর্মাধীন ছিলেন৷ তিনি ৪জন অপারেটরের বিশেষ দলের অংশ ছিলেন। যারা কি না এই ঘটনা সফল হয়েছে বলে সুনিশ্চিত করেছিলেন৷ হাবার্ড আরও বলেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংসের ঘটনা তার জীবনের সবচেয়ে অভিনব ঘটনা৷ তার কথায় তিনি একজন সত্যিকারের দেশভক্ত৷ তাই সিআইএ অথবা হোয়াইট হাউজের যেকোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কখনও কোনো প্রশ্ন করেননি৷ কিন্তু এখন তার মনে হয় সেদিন এমন কিছু ঘটেছিল যা একদমই ঠিক ছিল না৷
তিনি জানান, ‘এই হামলা ছিলো পরিকল্পিত। আমরা বিস্ফোরক হিসাবে ন্যানোথমাইন্ড যৌগিক পদার্থের ব্যবহার করেছিলাম৷’
এই হামলার প্ল্যান মাত্র এক মাসের মধ্যেই করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি৷ বিল্ডিং এর অধিকাংশ কার্যালয় সিআইএ, সিক্রেট সার্ভিস ও সেনা কর্মীদের ভাড়ায় দেওয়া ছিল৷ এই ঘরগুলি নিজেদের লোকেদের অধীনে থাকায় এই ষড়যন্ত্র খুব সহজেই সমাধা করা যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
উল্লেখ্য ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ভয়াবহ বিমান হামলা চালানো হয়৷ সে সময় ইসলামি সন্ত্রাসবাদীদের কার্যকলাপ বলে দেশজুড়ে ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছিল৷
হাবার্ড জানানা, এই হামলা পরিকল্পনা মাফিক হওয়ায় বিল্ডিং ভেঙে পড়ায় মাত্র ৬ হাজার জন আহত ও ২৯৯৬ জন নিহত হয়েছিলেন৷ সিআইএ অফিসের কেউই সেদিন দুঃখী ছিলেন না৷ সবাই এই বিল্ডিং ভেঙে পড়ার ভিডিওটি বারবার রিপ্লে দেখছিলেন। অফিসের সবাই এই বিল্ডিং ভেঙে পড়ায় আনন্দে মত্ত ছিলেন বলেও জানান প্রাক্তন ওই সিআইএ এজেন্ট৷
এমডব্লিউ/