মুফতি আবদুল্লাহ তামিম
মহিমান্বিত মাহে রমজানের শেষ দশক চলছে। মহিমা আর মর্যাদায় সিক্ত এ মাসের শেষ দশকই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বের। মহান আল্লাহ বলেন, ‘রমজান মাস, যাতে নাযিল হয়েছে মানবজাতির পথনির্দেশক কুরআন। যাতে রয়েছে হেদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শন ও সত্য-মিথ্যা নির্ণয়কারী মানদণ্ড। (আল-কুরআন)
মহান আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেন, ‘নিশ্চয়ই এটি (কুরআন) কদরের রাতে নাযিল হয়েছে। আর কদরের রাত কী— সে সম্পর্কে তুমি কী জানো? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ রাতে ফেরেশতাগণ ও জিবরাঈল আ. (পৃথিবীতে) নেমে আসেন তাদের রবের অনুমতিক্রমে সব ধরনের নির্দেশনা নিয়ে। সকাল হওয়া পর্যন্ত এতে বিরাজমান থাকে শান্তি।’ (আল-কুরআন)
কদরের রাতের ইবাদতের সুযোগ যাতে হাতছাড়া হয়ে না যায় সেজন্য রাসুল সা. শেষ দশদিনের পুরো সময়টাতে ইতেকাফরত থাকতেন। (মুসলিম, হাদিস-১১৬৭) রাসুলুল্লাহ সা. ইবাদতের মাত্রা খুব বেশি বাড়িয়ে দিতেন। রাত জেগে আমল করতেন। শেষ দশকের রাতগুলিতে অঝোরে কাঁদতেন রাসুল সা.। হজরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. শেষ দশকে ইবাদতের মাত্রা এত বেশি বাড়িয়ে দিতেন যেমনটি অন্য সময় করতেন না। (আস সুনানুল কুবরা, হাদিস-৮৩৫১; মুসলিম, হাদিস-১১৭৫)
হজরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন, ‘যখন রমজানের শেষ ১০ রাত আসত, তখন নবি করিম সা. কোমরে কাপড় বেঁধে নেমে পড়তেন (বেশি বেশি ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাত জেগে থাকতেন। আর পরিবার-পরিজনকেও তিনি জাগিয়ে দিতেন।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস-১০৫৩)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ঈমানের সাথে ও সাওয়াবের আকাঙ্ক্ষায় কদরের রাতে সালাত আদায় করে, আল্লাহ তার পূর্বের অপরাধ ক্ষমা করে দেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)
-এটি