সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

বেফাকের ফল প্রকাশ, পাশের হার ৭৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ:  বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক) এর ৪২তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। গড় পাশের হার ৭৭.৯৬%। ছাত্রদের পাশের হার ৮৩.২৭%। ছাত্রীদের পাশের হার ৬৯.৯৯%। পরীক্ষায় তাকমিল (এম.এ.) ব্যতিত ৬টি স্তরে মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৮০ জন অংশগ্রহণ করে। এর মাঝে স্টার মার্ক পেয়েছে ২১ হাজার ১৭৫ জন। প্রথম বিভাগে পাশ করেছে ২৬ হাজার ১৭৫ জন ছাত্র-ছাত্রী। মোট উত্তীর্ন পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫২ জন।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল ১০ টায় বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি আবূ ইউসুফ পরীক্ষার ফলাফলের ফাইল বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা আশরাফ আলীর নিকট হস্তান্তরের পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় আল্লামা আশরাফ আলী বলেন, কওমি মাদরাসার পরীক্ষার্থীরা সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলে সফলতার নজীর স্থাপন করেছে। এরাই যোগ্য আলেম হয়ে জাতির সামনে ইসলামের বাণী তুলে ধরবে বলে আমার একান্ত বিশ্বাস।

পরীক্ষার ফলাফলের সকল তথ্য বেফাকের নিজস্ব ওয়েব সাইট www.wifaqresult.com তে পাওয়া যাবে।

স্তরভিত্তিক পাশের হার
ফজিলত (স্নাতক) বালক ৮৬.৯১% ও  বালিকা ৮১.৭২%। সানাবিয়া উলইয়া (উচ্চ মাধ্যমিক) বালক ৭২.৭৪% ও বালিকা ৫৬.২৫%। মুতাওয়াসসিতাহ (নিম্ম মাধ্যমিক) বালক ৮৯.৭৭% ও বালিকা ৭৫.১৭%।আর ইবতিদাইয়্যাহ (প্রাইমারী) শাখায় বালক ৭৫.৬৬% ও বালিকা ৬৭.০৫%। এছাড়া তাহফীজুল কুরআন ও ‘ইলমুত তাজবীদ ওয়াল কেরাআত বিভাগের পাশের হার যথাক্রমে ৮৬.৫৫% ও ৮৮.০০%।

ফজিলত (স্নাতক)

বালক শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার মাদানীনগর মাদরাসার মুহা: আব্দুল্লাহ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৬৬। ২য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন নূর, ওয়াসা রোড, উত্তর-পশ্চিম যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মুহা: ইকরামুল হাসান আহমদ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৬৪। ৩য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন নূর, ওয়াসা রোড, উত্তর-পশ্চিম যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মাহবুবুল আলম। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৬১।

বালিকা শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার মাদরাসা ফাতেমাতুজ্জাহরা রা. মুহাম্মদপুর এর নাঈমা হুসাইন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৩। ২য় স্থান অধিকার করেছে কিশোরগঞ্জ জেলার আয়েশা সিদ্দীকা রা. কওমি মহিলা মাদরাসার মারিয়া মাইমুনা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৬০। ৩য় স্থান অধিকার করেছে বরিশাল জেলার চরমোনাই জামেয়া রশিদিয়া আহসানাবাদ মহিলা শাখা এর তাকওয়া তাজুন্নুর। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৫৫।

সানাবিয়া উলয়া (উচ্চ মাধ্যমিক)

বালক শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মুহাম্মদপুর -এর মুহা: মাহবুবুল আলম। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৮।

২য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ২জন। তাঁরা হলেন মাদারিপুর জেলার জামিয়াতুস সুন্নাহ, শিবচর এর ইয়াকুব আলী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৪। একই মাদরাসার মুহা: আব্দুল আযীয। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৪। ৩য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার মারকাজুল ইলমি ওয়াদ দাওয়াহ সাভার এর শাকিল ইজতিহাদ সিফাদ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৩।

বালিকা শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া রানাভোলা উত্তরা এর মোবাশ্বিরা আক্তার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৬১। ২য় স্থান অধিকার করেছেন যৌথভাবে ২জন। তাঁরা হলেন মোমেনশাহী জেলার মিফতাহুল জান্নাত মহিলা মাদরাসা গলগন্ডা এর সা‘দিয়া মারজান প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৯ ও ঢাকা জেলার হযরত ফাতেমাতুয যাহরা মহিলা মাদরাসা উত্তরা -এর মোসা: উম্মে হানি। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৯। ৩য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার মাদরাসাতুল কিতাব ওয়াস সুন্নাহ মহিলা মাদরাসা মোহাম্মদপুর এর আয়েশা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৭।

মুতাওয়াসসিতাহ (নিম্ম মাধ্যমিক)

বালক শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ২জন। তারা হলেন ঢাকা জেলার জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন নূর, ওয়াসা রোড, উত্তর-পশ্চিম যাত্রাবাড়ী-এর মুহা: সাজ্জাদ হুসাইন সা‘আদ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। কুমিল্লা জেলার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম বরুড়া-এর মো: খালেদ হাছান। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। ২য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ৩জন। তারা হলেন ফরিদপুর জেলার আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মদীনাতুল উলুম নগরকান্দা-এর মুহাম্মদুল্লাহ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮। নারায়ণগঞ্জ জেলার কাসেমুল উলুম রুপসী চরপাড়া-এর মুহা: শাহ জালাল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩ ও মাদারীপুর জেলার জামিয়াতুস সুন্নাহ-এর আ. রহমান তামীম। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮। ৩য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ২জন। তারা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার জামিয়া রব্বানিয়া জালকুড়ি মাদরাসার রবীউল ইসলাম। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮২ ও জামি‘আ আরাবিয়া দারুল উলুম দেওভোগ-এর মুহা: আরাফাত হোসাইন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮২।

বালিকা শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া রানাভোলা উত্তরা এর আফিফা রহমান মারিয়া। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮০। ২য় স্থান অধিকার করেছে কিশোরগঞ্জ জেলার জামিয়াতুল আজহার লিল বানাত তারাপাশা এর মাহমুদা আক্তার তুলফা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৭। ৩য় স্থান অধিকার করেছে কুমিল্লা জেলার ইকরা মহিলা মাদরাসা উত্তর লাকসাম এর নাছরিন শিফা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৩।

ইবতিদাইয়্যাহ (প্রাইমারী)

বালক শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার জামিয়া মোহাম্মদিয়া আরাবিয়া ভূঁইয়াপাড়া মাদরাসার মুহাম্মদ জুনাইদ আল হাসান। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫। ২য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ৪জন। তারা হলেন জামিয়া রব্বানিয়া আরাবিয়া জালকুড়ি এর মুহাম্মদ তামীম। জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন নূর, ওয়াসা রোড উত্তর পশ্চিম যাত্রাবাড়ী মাদরাসা এর মুহা: বেলাল হুসাইন। জামিয়া হাকীমুল উম্মত দক্ষিন কেরানীগঞ্জ -এর মুহা: মাহফুজুর রহমান। ও কুষ্টিয়া জেলার আশরাফুল উলুম মঙ্গলবাড়ীয়া মাদরাসার মুহা: তানভীর আব্দুল্লাহ। এদের সবার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৯। ৩য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ৩জন। তারা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার জাামিয়া রব্বানিয়া আরাবিয়া জালকুড়ি এর মুহা: কেফায়াতুল্লাহ। ঢাকা জেলার জামিয়া ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম পল্লবী মাদরাসার মুহা: আব্দুল্লাহ আল মারুফ। ও জামিয়া হাকীমুল উম্মত দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ মাদরাসার মুহা: আব্দুল্লাহিল কাফী। এদের সবার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৮।

বালিকা শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে জামালপুর জেলার মিফতাহুল জান্নাত (মরিয়ম) মহিলা মাদরাসা শাহপুর এর মোছা: সাইমুম জান্নাত সাদিয়া। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৫। ২য় স্থান অধিকার করেছে ফরিদপুর জেলার তানযীমুল উলুম কওমী মহিলা মাদরাসা বোয়ালমারী এর উম্মে হাবীবা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৮। ৩য় স্থান অধিকার করেছে মোমেনশাহী জেলার মিফতাহুল জান্নাত গলগন্ডা এর ফারিহা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৭।
এছাড়া তাহফীজুল কুরআন এর ৬৬ টি গ্রুপে (প্রতি গ্রুপে ৩জন করে) ও ‘ইলমুত তাজবীদ ওয়াল কেরাআত বিভাগে ৩টি গ্রুপে (প্রতি গ্রুপে ৩জন করে) পৃথক পৃথক ভাবে মেধা তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন অনেকেই।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেফাকের সহসভাপতি মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, বেফাকের সহকারী মহাসচিব মাও: মাহফুজুল হক, মুফতি নুরুল আমীন, মহাপরিচালক মাওলানা যুবায়ের আহমদ চৌধুরী, অর্থ সচিব মনিরুজ্জামান, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতী আমিনুল হক, মাওলানা আব্দুর রশিদ ও মুহা: রফিকুল হকসহ বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তা ও বিভিন্ন মাদরাসা থেকে আগত মুহতামিম ও সাংবাদিকগণ।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ