মোস্তফা ওয়াদুদ: দারুল উলুম দেওবন্দ। স্বপ্নের পাঠশালা। কে না চায় সেখানে পড়তে। মাদরাসা পড়ুয়া যে কারো স্বপ্ন থাকে দারুল উলুম দেওবন্দের ছাত্রত্ব গ্রহণ করার। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এ ছাত্রত্ব গ্রহণে অনেক ধরনের জটিলতা ছিলো। বৈধভাবে মিলছিলো না ভিসা। কিন্তু অনেক তদবির আর চড়াই উৎরাইয়ের পর এখন বৈধতার সুযোগ মিলেছে।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৫০ জন ছাত্রকে স্টুডেন্ট ভিসা দেয়া হবে বলে মিডিয়ার মাধ্যমে জানা গেছে। তবে এখনো এর সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। এ ব্যাপারে সঠিক খবর নিয়ে শীঘ্রই আমরা হাজির হচ্ছি।
এদিকে দেওবন্দের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য লাগবে চারিত্রিক সত্যায়ণ । যা বিশ্বের যে কোনো প্রতিষ্ঠানে পড়তেই লাগে। আর দারুল উলুম দেওবন্দে স্টুডেন্ট ভিসার পাশাপাশি বাংলাদেশি ছাত্রদের যাদের থেকে চারিত্রিক সনদ বা প্রত্যায়ণপত্র নিতে হবে, তারা হলেন জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসা ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী অথবা জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ মিরপুর ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা কারী আব্দুল খালিক আসআদী।
এ বিষয়টি দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত ‘কাওয়ায়েদে দাখেলা’ বা ‘ভর্তি নির্দেশিকা’র নিয়মাবলীতে লেখা আছে। এটি ভর্তি নির্দেশিকার ১৩তম শর্ত। সেখানে লেখা আছে, ‘বাংলাদেশি ছাতরা স্টুডেন্ট ভিসা ছাড়াও জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ মিরপুর ঢাকার কারী আব্দুল খালিক আসআদী অথবা জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসা ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সত্যায়ণ নিয়ে আসবে।
এর আগে এ সত্যায়ণকারী ছিলেন জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ এর মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস আল্লামা কাজী মুতাসিম বিল্লাহ রহ. ও কারী আব্দুল খালিক আসআদী। কাজী মুতাসিম বিল্লাহ রহ. এর মৃত্যুর পর নূর হোসাইন কাসেমীর নাম সংযোজন করা হয়।
এমডব্লিউ/