আওয়ার ইসলাম: ফেনীর মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার চার্জশিটে সোনাগাজী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের নাম না থাকায় প্রশ্ন তুলেছেন বাদীপক্ষ।
বুধবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিদর্শক মুহা. শাহ আলম মোট ১৬ জনকে আসামি করে এই চার্জশিট দাখিল করেন।
নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে তিন পুলিশ সদস্যের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মেলে। আর ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানোর অভিযোগে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে। কিন্তু তাকে এ মামলায় আসামি করা হয়নি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার চার্জশিটের ওপর শুনানি হবে জানিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু বলেন, ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন প্রথম থেকে হত্যার ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালান। কিন্তু তাকে আসামি করা হয়নি। অভিযোগপত্রের শুনানির দিন আইনজীবীরা পিবিআই’র কাছে জানতে চাইবেন কেন তাকে আসামি করা হয়নি। প্রয়োজনে মামলার বাদী নুসরাতের ভাই নোমানের সঙ্গে আলাপ করে অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি জানানো হবে।
মামলার বাদী নুসরাতে বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, পিবিআই আদালতে যে অভিযোগপত্রটি দিয়েছে তার বিস্তারিত আমার এই মুহূর্তে জানা নেই। আমি দেখব অভিযোগপত্রে কারা আসামি হয়েছেন। তবে আমি মনে করি আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে এ মামলায় অভিযোগপত্রে আসামি করা উচিত ছিল। আমি আমার আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শকরে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
চার্জশিটে নাম আসা ১৬ আসামি হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ-উদ-দৌলা (৫৭), নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), মাকসুদ আলম ওরফে মোকসুদ আলম কাউন্সিলর (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ (১৯)।
হাফেজ আব্দুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা (১৯), আব্দুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন ওরফে মামুন (২২), মুহাম্মদ শামীম (২০), রুহুল আমিন (৫৫) ও মহিউদ্দিন শাকিল (২০)।
-এএ