আওয়ার ইসলাম: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য আদালত স্থানান্তরে জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে হাইকোর্টে করা রিটের শুনানি আগামী ১০ জুন পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। শুনানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার প্যানেলের আইনজীবী ব্যারিস্টার একে এম এহসানুর রহমান।
গত রবিবার রিটটি উপস্থাপন করে শুনানির জন্য আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। উভয় পক্ষই উপস্থিত থাকলেও আদালত এ শুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পক্ষভুক্ত করতে বলেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন- ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন ও সালমা সুলতানা।
রিট আবেদনে সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদবহির্ভূত পদক্ষেপ হওয়ায় এবং প্রচলিত ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৯ এর (১) ও (২) উপধারাবিরোধী হওয়ায় নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিচারে পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ জজ আদালত-৯ কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের দুই নম্বর ভবনে স্থানান্তরে গত ১২ মে জারি করা গেজেটকে কেন অবৈধ এবং বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।
রিট আবেদন দায়ের করার পর ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, খালেদা জিয়া একজন পাবলিক ফিগার। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর যে কোনো ট্রায়াল পাবলিকলি হওয়া উচিৎ। কেরানীগঞ্জের কারাগারের একটি রুমে কখনো পাবলিক ট্রায়াল হতে পারে না।
আমরা মনে করি, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি ন্যায়বিচার করবেন এবং আদালত স্থানান্তরের যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, সেটির কার্যকারিতা স্থগিত চেয়েছি, আশা করি আদালত স্থগিতাদেশ দেবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে প্রথম বারের মতো বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের করা গ্যাটকো মামলার শুনানি হয়।
এর আগে ১২ মে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনের অস্থায়ী আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।
-এটি