আওয়ার ইসলাম: কিশোরগঞ্জের নিকলীতে প্রতিপক্ষের হাতে আটক ছেলেদের ছাড়াতে গিয়ে খোকন মিয়া (৪২) নিহত হয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যায় এ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন খোকন মিয়া। হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তার ভাই আফজাল হোসেনও গুরুতর আহত। তিনি কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এলাকাবাসী জানায়, ভাটিভড়াটিয়া মুন্সিপাড়া গ্রামের তাহের আলী ও সিরাজপাড়ার খোকনের লোকজনের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অনেকদিন ধরে বিরোধ ও মামলা ছিল। তারা আপন চাচাত ভাই। রোববার বিকালে বরাটিয়া মাঠে খোকনের দুই ছেলে আপন (১৪) ও জীবন (১৬) ফুটবল খেলা দেখতে যায়। এ সময় তাহেরের নাতি ছেলে দিদারের (১৬) সাথে বাকবিতণ্ডা হয় তাদের। পরে দিদার বাড়িতে খবর দিলে তাহেরের লোকজন খোকনের ছেলে আপন ও জীবনকে ধরে তাহেরের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে।
খবর পেয়ে খোকন মিয়া ও চাচাতো ভাই আফজালসহ কয়েকজন আপন ও জীবনকে ছাড়িয়ে আনতে যায়। এ সময় উভয়পক্ষ উত্তেজিত হয়ে উঠলে আগ্নেয়াস্ত্র বের করেন তাহেরের ছেলে ফুয়াদ মিয়া, ভাই শফিকুল (৪০), সোহাগ (৩৮), জসিম (৩৫) ও ওয়াসিম। উত্তেজিত জসিমের বন্দুকের গুলিতে আহত হন খোকন মিয়া ও আফজাল। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান খোকন।
নিকলী থানার ওসি নাসির উদ্দিন ভূইয়া জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ প্রেরণ করে। এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। হত্যা মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
-এএ