মুহাম্মদ ইকরামুল হক
চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলা প্রতিনিধি
কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড 'আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ' এর কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় চট্টগ্রামের দোহাজারী আজিজিয়া কাসেমুল উলুম মাদরাসার ৪ জন শিক্ষার্থী মেধা তালিকা অর্জন করেছে।
মেধা তালিকা অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা হলো, মুহাম্মদ আবু ছালেহ, পিতা: আবু ইউছুফ, জামাতে শাশুমে (কাফিয়া), ৬০০ নম্বরের পূর্ণমানে ৫৯৫ পেয়ে মেধা তালিকায় চতুর্থ হয়েছে। মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, পিতা: জনাব লোকমান হাকিম, জামাতে শাশুম (কাফিয়া), ৬০০ নম্বরের পূর্ণমানে ৫৯১ পেয়ে মেধা তালিকায় দ্বাদশতম হয়েছে। মুহাম্মদ কায়সার হামিদ, পিতা: জনাব আবুল ফজল, জামাতে হাস্তুমে ৬০০ নম্বরের পূর্ণমানে ৫৯৬ পেয়ে মেধা তালিকায় অষ্টম হয়েছে। মুহাম্মদ আসিফুর রহমান, পিতা: জনাব আতাউর রহমান, জামাতে হাস্তুমে ৬০০ নম্বরের পূর্ণমানে ৫৯৫ পেয়ে মেধা তালিকায় দশম হয়েছে।
এছাড়াও জামাতে মিজানের (নাহুম) আঞ্চলিক বোর্ডের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় ৬ জন মেধা তালিকায় স্থান করে সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন।
মাদরাসার পরিচালক মাওলানা ইসমাঈল আজিজ আওয়ার ইসলামকে বলেন, আমাদের এই প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন পর ইত্তেহাদের সদ্য অংশগ্রহণ করে গৌরবান্বিত যে ফলাফল আমাদের শিক্ষার্থীরা অর্জন করেছেন এর পিছনে শিক্ষক ও জিম্মাদারের পরিশ্রম ও মেহনত রয়েছে। আমরা মাদরাসা কতৃপক্ষ তাদের স্বাগত জানাই।
শিক্ষার্থীদের এ ফলাফলে আমরা আনন্দিত। আমি আশা করবো শিক্ষকগণ যেন সম্মিলিতভাবে শিক্ষার মান উন্নয়ণে পরিকল্পনা করে আমার কাছে পেশ করে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মনোনিবেশী করে গড়ে তোলার প্রচেষ্ঠার জন্য আমি শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দের দোয়া ও সহযোগিতা চাই।
উল্লেখ্য, আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক কুতবে জামান আল্লামা মুফতি আজিজুল হক রহ. এর দিকনির্দেশনায় তার সন্তান মাওলানা হাফিজ মাহবুবুর রহমান আজিজ রহ. চট্টগ্রামের চন্দনাইশ (পৌর এলাকা) ও বাংলাদেশের রেলওয়ের পূর্বদিকের শেষ সীমানা দোহাজারীর প্রাণকেন্দ্র ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেছেন দোহাজারী আজিজিয়া কাসেমুল উলুম মাদরাসা।
প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই জ্ঞাণচর্চা ও কুরআন সুন্নাহর অনুশীলন করে জ্ঞাণের আলো ছড়াচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ঘরে ঘরে। বর্তমানে ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে নূরানী ও হিফজ বিভাগসহ কিতাব বিভাগে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক (জামাতে ইয়াজ দাহুম থেকে জামাতে উলা/মেশকাত) পর্যন্ত লেখাপড়া করছেন।
-এএ