আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশের মানুষ সার্বিকভাবে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। এর বিভিন্ন কারণের মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হল শাসন ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে থাকা।
আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার হরণের প্রচেষ্টা ও সার্বিকভাবে রাষ্ট্রীয় সকল অধিকার কেড়ে নেয়ায় এদেশের মানুষ জেগে ওঠেছিল। আর সেই জেগে ওঠার চুড়ান্ত ফলাফল হল আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ।
আমাদের মনে রাখতে হবে, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন এবং একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সমাজের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। সুতরাং দেশকে সার্বিক দুরাবস্থা থেকে মুক্ত করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র সংগঠনসমূহের ঐক্যবদ্ধতা জরুরী।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ শাংগ্রি-লা ইন রেস্টুরেন্ট-এ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত ইফতার মাহফিল শেষে আগত বন্ধুপ্রতিম ছাত্র সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা ও চা-চক্রে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
এসময় বন্ধুপ্রতিম ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক দৈন্যদশার চিত্র তুলে ধরেন। তারা বলেন- আজ বাংলাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার নেই। স্বাধীনভাবে বেচে থাকার নিশ্চয়তা নেই। এমতাবস্থায় একটি দেশ চলতে পারেনা।
জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে পরিবর্তনের অঙ্গিকারে পীর সাহেব চরমোনাইকে জাতির নেতৃত্ব দিতে হবে। উপস্থিত ছাত্র সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পীর সাহেব চরমোনাইকে জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট যেকোন কর্মসূচিতে সহযোগীতা ও সহাবস্থানের প্রতিশ্রুতি দেন। এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনকে সাথে নিয়ে ছাত্রদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আশ্বাস দেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইউম, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল করীম আকরাম, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল আমিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।
প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক কে.এম. শরীয়াতুল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক ইউসুফ আহমাদ মানসুর, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক গাজী মুহাম্মাদ ওসমান গনী, কলেজ সম্পাদক এম.এম শোয়াইব, আলিয়া মাদ্রাসা সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ সালমান, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নুরুল বশর আজিজী, সদস্য এম এ হাসিব গোলদার, মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, ইবরাহীম হুসাইন প্রমূখ।
-এটি