আওয়ার ইসলাম: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৮’-এর প্রশ্ন ফাঁস শেষ পর্যন্ত ঠেকানো গেল না। প্রশ্ন ফাঁস রোধে ব্যাপক প্রস্তুতি, হাঁক-ডাক আর নতুন সফটওয়্যার ও ৯ সেট প্রশ্ন তৈরি, পরীক্ষার দিন প্রশ্ন ছাপিয়ে বিতরণসহ নানা উদ্যোগ নেয়ার পরও তা ঠেকানো যায়নি।
গত শুক্রবার দেশের ২৫টি জেলায় এ পরীক্ষা হয়েছে। কোন কোন জেলায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে তা-ও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না এ পরীক্ষার মূল আয়োজক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। ডিপিই মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদির প্রশ্ন ফাঁসের কথা স্বীকার করেছেন।
ডিপিই ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার আগে সাতক্ষীরার একটি কোচিং সেন্টার থেকে র্যাব-৬ প্রশ্নের উত্তর বলে দেয়ার সময় পরীক্ষার্থী, অভিভাবক এবং স্থানীয় চক্রের সদস্যসহ ২৯ জনকে আটক করে। এতে সাতক্ষীরার স্থানীয় পাঁচ ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতাও পাওয়া গেছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২১ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন। এদের মধ্যে ব্যাংক কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকও রয়েছেন। ঢাকা থেকে একটি চক্র এ প্রশ্ন ফাঁস করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। র্যাব ঘটনাটি ডিপিইকে অবহিত করেছে।
জানা গেছে, সরকারি ছুটির দিনেও গতকাল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে (ডিপিই) নিয়মিত অফিস করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আগের দিন শুক্রবার দেশের ২৫ জেলায় নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ত্রুটিহীনভাবে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠান নিয়ে গত এক মাস ডিপিইর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেক পরিশ্রম করলেও শুরুতেই তারা হোঁচট খেলেন। সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ছয় লাখ প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, তিন পার্বত্য জেলা বাদে সারা দেশে ৬১ জেলার ২৪ লাখ এক হাজার ৯১৯ জন প্রার্থী প্রায় ১২ হাজার পদের বিপরীতে এ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা হয়েছে।
-এটি