তানভীর সিরাজ
তরুণ আলেম লেখক
ইতিকাফ মানে ইবাদতের উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান করা। (মু'জামুল রায়েদ) নারীপুরুষ সবাই ইতিকাফ নিতে পারেন। পুরুষরা নিবেন ‘শরঈ মসজিদে’ আর মহিলারা নিবেন ‘শরঈ পর্দার পবিত্র কোনো কক্ষে, যেখানে তিনি নিয়মিত নামাজ পড়েন। তবে মসজিদে নববি আর মসজিদে হারামের হুকুম হল, সেখানে যেভাবে প্রচলন আছে সেভাবে, কিন্তু মূল মাসয়ালার ক্ষেত্রে অভিন্ন। কিছু মাসয়ালা নীচে উল্লেখ করা হল।
ইতিকাফ মাদানি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। রাসূল সা. মদিনা শরিফ হিজরত করে প্রতিবছরই ইতিকাফ করতেন।
ইমাম যুহরি বলেন,
- ‘عَجَبًا لِلنَّاسِ تَرَكُوا الِاعْتِكَافَ وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَفْعَلُ الشَّيْءَ وَيَتْرُكُهُ وَلَمْ يَتْرُكْ الِاعْتِكَافَ مُنْذُ دَخَلَ الْمَدِينَةَ إلَى أَنْ مَاتَ.’
‘ইতিকাফের মতন গুরুত্বপূর্ণ আমলকে লোকদের ছেড়ে দেয়া দেখলে আমি অবাক করি, অথচ আল্লাহর রাসূল সা. মাঝেমধ্যে অন্যান্য আমল বাদ দিলেও, মদিনা শরিফ হিজরতের পর আজীবন মসজিদে নববিতে ইতিকাফ করেন।’ (শামেলা)
এমনকি এক বছর তিনি ইতিকাফ নিতে না পারলে পরবর্তী বছর ২০দিন ইতিকাফ করেন। এমনটাও সিরাতের কিতাবে পাওয়া যায়। আর যেই বছর নবি সা. দুনিয়া থেকে বিদায় নিবেন সেই বছর ২০দিন ইতিকাফ করেন। হযরত আবু হুরাইরা র. বলেন,
- ‘كان النبي صلى الله عليه وسلم يعتكف في كل رمضان عشرة أيام، فلما كان العام الذي قبض فيه اعتكف عشرين يوماً.’
‘আল্লাহর নবি সা. প্রত্যেক রমজানে দশদিন এতেকাফ করতেন, সুতরাং যে বছর তাঁর ওয়াফাত সে বছর তিনি ২০দিন ইতিকাফ করেন।’ (বুখারি শরিফ,হাদিস-২০৪৪)
মুসলিমসমাজ যদি জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে চায় তাহলে রমজানের শেষদশকে ইতিকাফের বিকল্প নেই। কারণ প্রত্যেক ইতিকাফে দোজখ আপনার থেকে দূরে সরছে আর জান্নাত আপনার কাছে আসছে এবং ইতিকাফরত ব্যক্তির ব্যাপারে স্বয়ং নবি সা. ইবনে আব্বাস রা.-কে বলেছিলেন,
- ‘مَنْ مَشَى فِي حَاجَةِ أَخِيهِ كَانَ خَيْرًا لَهُ مِنَ اعْتِكَافِ عَشْرِ سِنِينَ، وَمَنِ اعْتَكَفَ يَوْمًا ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ جَعَلَ اللَّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّارِ ثَلَاثَ خَنَادِقَ، كُلُّ خَنْدَقٍ أَبَعْدُ مِمَّا بَيْنَ الْخافِقَيْن’
‘যে ব্যক্তি আপন ভাইয়ের সহযোগিতায় হেটে হেটে আসে, তার এই সহযোগিতার ধরুন (তার জন্য) দশবৎসর ইতিকাফ অপেক্ষা উত্তম । যে ব্যক্তি একদিনের ইতিকাফও আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টির জন্য করে থাকে, আল্লাহ তায়ালা তার ও জাহান্নামের মাঝে তিন খন্দক আড়াল সৃষ্টি করে দেন, এক একটি খন্দক আসমান- জমিনের চেয়ে বেশী দূরত্বসমান।’ (তাবরানি, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ,৮/৩৫১)
ইতিকাফ সুন্নতে মুয়াক্কাদা (কেফায়া)।সুন্নতে মুয়াক্কাদা হল, যে কাজ নবি সা. ধারাবাহিকভাবে আদায় করেন। তাই ফকিহগণ ইতিকাফ সুন্নতে মুয়াক্কাদা (কেফায়া) বলে মত প্রকাশ করেছেন। যে কাজ এলাকাবাসীর কেউ একজন আদায় করলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যায়, তাকে কেফায়া বলা হয়।
মাকতাবা শামেলায় উল্লেখ আছে,
وَمُوَاظَبَةُ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَلَيْهِ دَلِيلُ كَوْنِهِ سُنَّةً فِي الْأَصْلِ وَلِأَنَّ الِاعْتِكَافَ تَقَرُّبٌ إلَى اللَّهِ تَعَالَى بِمُجَاوَرَةِ بَيْتِهِ وَالْإِعْرَاضِ عَنْ الدُّنْيَا وَالْإِقْبَالِ عَلَى خِدْمَتِهِ لِطَلَبِ الرَّحْمَةِ وَطَمَعِ الْمَغْفِرَة
নবি সা. এর ধারাবাহিকতাই হলো দলীল যে, ইতিকাফ একটি মৌলিক সুন্নত (সুন্নতে মুয়াক্কাদা)। কেননা ইতিকাফে আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়, আল্লাহর ঘর মসজিদের প্রতিবেশি হয়, দুনিয়া বিমুখ হয় আর তার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে রহমতের খোঁজে ও মাগফিরাতের আশাবাদী হওয়া যায়, (আল্লাহর খাঁটি বান্দায় পরিণত হয়)।
জীবন চলার পথে যেমন প্রতিটা বিষয়ে কিছুনা কিছু বিধিনিষেধ থাকে, তেমনি ইতিকাফের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিয়মকানুন আছে, যার জ্ঞান একজন মুতাকিফের থাকা বাঞ্ছনীয়। আসুন এবার আমরা সেদিকে চোখ দেই।
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া র. বলেন, ‘অপরিহার্য প্রয়োজন ব্যতীত মুতাকিফ মসজিদ থেকে বের হবে না। যেমন টয়লেটে যাওয়া, ফরজ গোসল করতে যাওয়া আর অপারগতার কারণে পানাহারে বাহিরে বের হওয়া।’ (মাজমুউল ফাতোয়া, খ.২৬, পৃ. ২১৬)
আম্মাজান আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত।
‘أَنَّ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- كَانَ لَا يَخْرُجُ مِنْ مُعْتَكَفِهِ لَيْلًا وَلَا نَهَارًا إلَّا لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ.’
‘যে নবি সা. তাঁর ইতিকাফ থেকে রাত-দিন মানবীয় প্রয়োজন ছাড়া বের হতেন না।” র্অথ্যাৎ তিনি পশ্রাব-পায়খানার জন্য মসজিদ থেকে বের হতেন। (মাকতাবা শামেলা)
একটি কথোপকথন- হুজুর মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলেন ফরজ গোসল করতে, এনিয়ে তর্কে লিপ্ত সাহেব। সাহেব : মুতাকিফ মসজিদ থেকে বের হতে পারে না; এ হুজুর কেমন মু’তাকিফ! হুজুর: মসজিদ যেহেতু গোসলখানা নয়, সেহেতু বের হতে পারে আর স্বয়ং আল্লাহর নবীও মানবীয় প্রয়োজনে বের হতেন।
সাহেব: আপনার কাছে কোনো প্রমাণ আছে? হুজুর: আরে ভা-ই, আছে, আছে। না থাকলে কী হুজুররা আমল করতেন।
দেখুন,
اتَّفَقَ الْفُقَهَاءُ عَلَى أَنَّهُ لاَ يَضُرُّ الْخُرُوجُ لِقَضَاءِ الْحَاجَةِ وَالْغُسْل الَّذِي
وَجَبَ مِمَّا لاَ يُفْسِدُ الاِعْتِكَافَ. لَكِنْ إِنْ طَال مُكْثُهُ بَعْدَ ذَلِكَ فَسَدَ اعْتِكَافُهُ.
ফকিহগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন একমত যে, প্রয়োজন সারার জন্য আর ফরজ গোসল করার জন্য বাহিরে যাওয়াটা ইতিকাফকে নষ্ট করে না। কিন্তু বাহিরে অযথা লম্বা সময় নষ্ট করাটা তার ইতিকাফকে নষ্ট করে ফেলে।’ (ইতিকাফের ওয়াজিব ওজু- গোসল করার জন্য বাহিরে যাওয়া অধ্যায়ে, মাওসূআহ ফেক্বহিয়্যাহ কুইতিয়্যাহ)
হুজুর: সাহেব, আশাকরি উত্তর পেয়েছেন। সাহেব: না, হুজুর, হাদিস চাই। আমি আহলে হাদিস করি। হুজুর: সাহেব, আছে,আছে। সব আছে ।
حديث عائشة رضي الله عنها: " أن النبي صلى الله عليه وسلم كان لا يدخل البيت إلا لحاجة إذا كان معتكفا ’
উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফরত অবস্থায় ইস্তিঞ্জার প্রয়োজন ব্যতীত ঘরে প্রবেশ করতেন না। (সহিহ বুখারি ১/২৭২; সহিহ মুসলিম ১/১৪২)
সাহেব: হুজুর, বেশ, বুঝেছি।
সাহেব: আচ্ছা হুজুর, আমার ’স্মূক’ না করলে যে চলে না। আমি আবার ইতিকাফও করতে চাই। এখন আমি কী করি? হুজুর: বলছি,
১, আল্লাহ তা'আলা সূরা তাওবায় বলেন, يٰٓأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوٓا إِنَّمَا الْمُشْرِكُونَ نَجَسٌ فَلَا يَقْرَبُوا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ بَعْدَ عَامِهِمْ هٰذَا
‘হে ঈমানদারগণ নিশ্চয় মোশরিকরা নাপাকিই নাপাক। তারা যেন মসজিদে হারামের ধারে-কাছেও না ঘেষে’
২, সহিহ হাদিসে আছে, কাঁচা পেয়াজ রশুনের ঘ্রাণের কারণে ফেরেশারা কষ্ট পান, তাহলে স্মূকিনের কারণে সম্মানিত ফেরেশতাগণ আরো বেশি কষ্ট পান। আর যারা আপনার সাথে ইতিকাফে আছেন তারা সবাই স্মূকের কারণে কষ্ট পান। যা সম্পূর্ণ হারাম। এখন আপনি নিজেই তার উত্তর দিতে পারবেন, সাহেব!
ইতিকাফের জরুরি কিছু মাসাআলা-
রমজান মাসের শেষ দশকের ইতিকাফ অবস্থায় সাধারণ গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েয নয়। বের হলে ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। সুতরাং কোনো ব্যক্তি সাধারণ গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়ার কারণে তার সুন্নত ইতিকাফ নষ্ট হয়ে গেছে।
যেদিন গোসলের জন্য বের হয়েছে ঐ দিনের ইতিকাফ কাযা করে নেওয়া জরুরি। আর এই ইতিকাফটি নফল ইতিকাফ হিসাবে গন্য হবে।
(মারাকিল ফালাহ ৩৮৩; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২২৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২১২)
২। ইতিকাফে মাসনুনাতে (রমজানের শেষ দশদিন) রোজা থাকে, তাই তাতে আর রোজা র্শত করার প্রয়োজন নাই।
২। মুস্তাহাব ইতিকাফের মধ্যেও ইহ্তিয়াতান (সচেতনতামূলক) রোজা র্শত, তবে র্নিভরযোগ্য কথা হলো র্শত না ।
(মন্তব্য:ওয়াজিব ইতিকাফে রোজা র্শতই র্শত, যাতে কোনো সন্ধেহ নেই । আর সুন্নত ইতিকাফেও রোজা র্শত, যেহেতু র্পূণদিন দশদিন পাওয়া যায় আর মুস্তাহাব ইতিকাফে যেহেতু একমিনিট আধা মিনিটও হতে পারে আর রোজা তো একমিনিট, আধামিনিট হয় না, তাই তার জন্য মুস্তাহাব ইতিকাফে রোজা র্শত নয়।)
৩। ওয়াজিব এতেকাফে কমপক্ষে একদিনের নিয়ত করতে হবে । বেশিও হতে পারে। আর সুন্নত ইতিকাফ একদশ এইজন্য সুন্নত ইতিকাফ রমজানের শেষ দশদিনে হয় আর মুস্তাহাব ইতিকাফের জন্য নিদৃষ্ট কোন সময় নায়। হতে পারে একমিনিট, বরং তার চেয়ে কম-বেশি ।
৪। এতেকাফের মধ্যে দু’প্রকার (কাজ-র্কম) হারাম । র্অথাৎ যেগুলো করলে ওয়াজিব আর সুন্নত ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যায়। যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কাযা করা লাগবে।
আর কাজা থেকে উদ্দেশ্য হলো, যে সমস্ত দিন ইতিকাফ নষ্ট হয়ে গেছে, ঐসমস্ত দিনের কাযা দিবে। ওয়াজিব ইতিকাফের কাযা ওয়াজিব আর সুন্নতের সুন্নত । রমজানের ইতিকাফের কাযার জন্য রমজান হওয়া র্শত নয়, তবে রোজা হওয়া র্শত। যেহেতু রোজার সময়ের কাযা।
যদি মুস্তাহাব ইতিকাফ হয় তাহলে কোনো সমস্যা নেই আর মুস্তাহাব এতেকাফের জন্য নিদৃষ্ট কোন সময় নাই বলে কোনো কাযাও নাই। ৫। ভুলেও নিজের ইতিকাফের মসজিদকে একমিনিট, কিংবা আরো কম সময়ের জন্য ছেড়ে দেয়া না-জায়েজ।
৬ । ইতিকাফ থাকা অবস্থায় অপ্রয়োজনীয় দুনিয়াবী কোনো কাজে ব্যস্ত হওয়া মাকরূহে তাহরীমি । যেমন,অপ্রয়োজনীয় বেচা-কেনা আর ব্যবসার মধ্যে লিপ্ত হওয়া। তবে হাঁ, যা না করলেই নয় ,এমন হলে ভিন্নকথা। যেমন, ঘরে খাবার নায় আর সে ছাড়া উপযুক্ত অন্যকেউ নায়, তাহলে মুতাকিফ বেচা-কেনা করতে পারে ।
অপারগতার কারণে সে বেচা-কেনা করতে পারবে, তবে মসজিদে কোন জিনিস বা মালামাল উপস্থিৎ করা কোন অবস্থাতেই বৈধ নয়। এ র্শতে যে, মসজিদ যেন ময়লা-আর্বজনা যুক্ত না হয়। যদি ময়লা-আর্বজনা যুক্ত না হয় তাহলে অনেকের মতে জায়েজ আছে।
(সূত্র:বেহেশতী গৌহর,পৃ:১৩২-৩৫)
৭। বিনিময় নিয়ে ইতিকাফ করা বা করানো সম্পূর্ণ নাজায়েয। কারণ ইতিকাফ একটি ইবাদত। আর ইবাদতের বিনিময় দেওয়া-নেওয়া নাজায়েয। বিনিময়াদির ইতিকাফ দ্বারা সুন্নতে মুয়াক্কাদা (কেফায়া) আদায় হবে না। ফলে এলাকাবাসী সবাই সুন্নতে মুয়াক্কাফা কেফায়া আদায় না করার কারণে গোনাহগার হবে।
(জামে তিরমিজি ১/৫১; তাবয়িনুল হাকায়েক ৬/১১৭; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৪; মাবসূত,সারাখসি ১৬/৩৭; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৩/১১৪; ফাতাওয়া খানিয়া ২/৩২৫; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৫/৩৭।)
৮। ইতিকাফরত ব্যক্তি যদি অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে বাড়িতে চলে আসতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তিকে একদিনের ইতিকাফ কাযা করতে হবে। আর তা সামনের রমযানেও কাযা করতে পারবে। এজন্য সে কোন একদিন সূর্যাস্তের পর থেকে পরের দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত মসজিদে ইতিকাফ করবে। অবশ্য রমযানের বাইরে ইতিকাফটি কাযা করতে চাইলে দিনের বেলা নফল রোযাও রাখতে হবে।
(দেখুন : রদ্দুল মুহতার ২/৪৪৪-৪৪৫; আহকামে ইতিকাফ ৫০)
৯। ইতিকাফ অবস্থায় কোনো মহিলার মাসিক শুরু হয়ে যায়। এখন তার করণীয় হল, মাসিক শুরু হওয়ার কারণে তার ইতিকাফ ভেঙ্গে গেছে। যে দিন মাসিক শুরু হয়েছে শুধু সেই একদিনের ইতিকাফ কাযা করে নেওয়া জরুরি। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৭; জামিউর রুমুয ১/৩৮৫; রদ্দুল মুহতার ২/৪৪৫; আলজাওহারা পৃ. ১৮৬; ফাতাওয়া রহীমিয়া ৭/২৮৬)
-এটি