সুফিয়ান ফারাবী
বিশেষ প্রতিবেদক
দেশের শীর্ষ দুই আলেম মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহু আগেই আন্তর্জাতিক ইসলামি ব্যক্তিত্বের কাতারে নাম লিখিয়েছেন। দাওয়াতে কাজে ছুটেছেন দিক্বিদিক। সবুজ বাংলার পথে প্রান্তরে ইসলামের সু-মহান ঐশী বাণী পৌঁছেছেন স্পষ্ট ও সাহসী কণ্ঠে।
দেশ ও দেশের বাইরে এখন তাঁদের মর্যাদার স্তর অনেক উঁচুতে। তাকওয়ার বয়ান, আত্মশুদ্ধির আলোচনা, সমাজের অসঙ্গতি নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য- এসবের মাধ্যমে সারাবাংলার মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন এ দু'জন দায়ী।
দাওয়াতের ফিকিরে বর্তমানে অবস্থান করছেন মধ্য-প্রাচ্যের মুসলিম রাষ্ট্র কাতারে। খুবই টাইট শিডিউলে সেখানে বেশ কয়েকটি সভায় তারা উপস্থিত হয়ে আত্মশুদ্ধিমূলক বয়ান করেছেন। প্রতিটি প্রোগ্রাম ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ। আগত শ্রোতাদের উপস্থিতি সামাল দেওয়া অসাধ্য হয়ে পড়ে আয়োজকদের পক্ষে। সবমিলিয়ে জনসাধারণের উপস্থিতি প্রতিটি পোগ্রামকে সাফল্য মণ্ডিত করে।
তবে, তাদের এই সফরে বিশেষ আয়োজন ছিলো কাতারের কেন্দ্রীয় তাবলিগের মারকাজ মসজিদে প্রেসিডেন্ট তামিম বিন আলথানির বড় ভাই ফাহাদ বিন আলথানির নিমন্ত্রণ। তার নিমন্ত্রণে তাবলিগের মারকাজ মসজিদে বয়ান করেন মাওলানা মামুনুল হক। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী।
আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্য মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আল্লাহ আমাদের জন্য দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। নির্দিষ্ট ঈদের দুটি দিন দিয়েছেন। এরপর আর কোন ঈদ গ্রহণযোগ্য নয়। যেসব বিষয়ে নির্ণয় করতে উম্মত সন্দেহে পড়তে পারে, এসব বিষয় আল্লাহ নিজেই নির্ধারণ নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ইসলাম যতগুলো শাখাপ্রশাখা নিয়ে পরিপূর্ণতা পেয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে উলামায়ে কেরাম মৌলিকভাবে পাঁচটি বিষয় বের করেছেন। তা হলো, ইমানিয়াত,আকায়িদ,আহকামাত, মুআমালাত, মুআশারাত, আখলাক। এগুলো প্রত্যেকটি মুমিম মুসলমানের উপর জন্য থাকা জরুরি। একটি ছাড়া অন্যটি শোভা পায় না, সুন্দর দেখায় না।
‘যেমন একটি গাছের জন্য প্রয়োজন একটি মূল,শাখাপ্রশাখা, পাতা, এবং যদি ফলের গাছ হয় তাহলে ফল। এগুলো সবকিছু থাকলে গাছটি সুন্দর দেখায়। এরমধ্যে একটি অনুপস্থিত থাকলে হয়ত তার অস্তিত্ব থাকে কিন্তু সেরকম সুন্দর দেখায় না। এজন্য একজন মুমিনের এই পাঁচটি গুণের অধিকারী হওয়া প্রয়োজন।’ দীর্ঘ সময় এসব বিষয়ে কুরআন হাদিস থেকে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে দোয়া পরিচালনা করেন মজলিসে তালিমুস সুন্নাহ'র মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী। তিনি মুসলিম উম্মতের মঙ্গলের জন্য দোয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন। সাথে সাথে মুসল্লীদের চোখ দিয়েও কান্নায় অশ্রু ঝরান। এবং আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো মারকাজ মসজিদ।
এমডব্লিউ/