শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

রমজান সম্পর্কে যে ১০টি প্রশ্ন খুব বেশি জানতে চায় অমুসলিমরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম

মহিমান্বিত এ রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের জন্য জান্নাতকে সাজাতে থাকেন। মুমিনগণ এ মাসে আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করেন।

রমজানের রোজা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ফরজ করেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেরূপ তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে করে তোমরা মোত্তাকি হতে পার।’ (সূরা বাকারা-১৮৩)।

রমজান বলতে রমজান মাসকে বোঝানো হয়। রমজান মাস আরবি বারো মাসের মধ্যে নবম মাস। এটি সর্বশ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে সম্মানিত মাস।

পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্য হেদায়াতের আলোকবর্তিকা কুরআন মাজিদ নাজিল করেছেন। যেমন ইরশাদ হচ্ছে- ‘রমজান মাস হলো সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে আল কুরআন। যা মানুষের জন্য হেদায়াত এবং সত্যপথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট নিদর্শন। আর সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্যকারী। অতএব তোমাদের মধ্যে যে এ মাসটি পাবে, সে যেন তাতে রোজা রাখে।’ (সূরা বাকারা-১৮৫)।

এ মাসের ইবাদতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে হাদিস শরিফে আছে, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এ মাসে একটি নফল কাজ করল, সে যেন অন্য মাসের একটি ফরজ কাজ করল। আর যে এ মাসে একটি ফরজ কাজ করল, সে যেন অন্য মাসের সত্তরটি ফরজ কাজ করল।’ (বায়হাকি)।

তাই রমজান মাসে মানুষ খুবই সতর্কতার সঙ্গে রোজা বা সিয়াম সাধনা করার চেষ্টা করে। কী কাজ করলে রোজা ভাঙবে কী করলে ভাঙবে না এগুলো জানতে চায় খুব বেশি। মুসলমানদের সাথে সাথে অমুসলিমরাও এ রোজা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে চায়। আর তাই তো ইন্টারনেটের জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল ১০টি প্রশ্ন বের করেছে যেগুলো মানুষ রমজান এলে খুব বেশি জানতে চায়।

১। রোজাবস্থায় পানি পান করা যাবে? গুগলের প্রায় উত্তরে ওঠে এসেছে রোজাবস্থায় পানি পান করা যাবে না। পানি পান না করলে মানুষ মারা যায় না। মানুষ পানি পান না করে চার দিন জীবিত থাকতে পারে।

২। রমজান বা রোজা কিভাবে রাখতে হয়?  এখানে বলা হয়েছে ভোরবেলা (সুবেহ সাদিক থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত) খাবার পানাহার স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।

৩। আরেকটা প্রশ্ন হলো রোজ রাখা কি খুব কঠিন? এর উত্তরে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট  সময় খাবার পান থেকে বিরত থাকলে মানুষ মারা যায় না। বরং সে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বৈজ্ঞানিকদের দৃষ্টিকোণে, বছরে একমাস কেউ যদি দিনে না খেয়ে থাকে তাহলে তার পাকস্থলি ও হজম শক্তিসহ শরীরের নানান রোগ থেকে সে মুক্ত থাকে।

৪। রমজানে খাওয়া বন্ধ রাখলে কী ওজন কমে? এর উত্তরে বলা হয়, ডায়েট করা আর রজানের রোজা রাখা এক নয়।

৫। সূর্য অস্ত গেলে যদি রোজা ভাঙ্গা হয় তাহলে কি আকাশ মেঘলা থাকলে রোজা ভাঙ্গা যাবে না? এটা কোনো কথা হলো না। সূর্য অস্ত যেতে দেখা না গেলেও সময় তো আছে।

৬। মুসলমানরা এ রমজানে তাহলে পুরো ৩০দিন দিনের বেলা আহার করে না? হাঁ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উপবাসের নাম রোজা। তবে এটা ইবাদত।

৭। লুকিয়ে কেউ যদি খেয়ে ফেলে তার রোজা কি ভাঙবে?  মুসলিমরা রোজা রাখে আল্লাহর জন্য। আর আল্লাহ তায়ালা সবসময় সব জায়গায় সবাইকে দেখেন।

৮। তাহলে মুসলমানরা কি সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত শুধু খেতেই থাকে? না এটা কেনো হবে, রোজা ভাঙ্গার জন্য ইফতার খাওয়া সুন্নাত, তারা ইফতার খায়, খাবার খায়, সেহরি খাওয়া সুন্নাত, সেহরি খায়।

৯। রোজা রাখাবস্থায় মুসলমানরা ব্রাশ বা গোসল থেকেও বিরত থাকে? না ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকবে কেনো? ব্রাশ করে সেহরি খেয়ে, ইফতার করে। আবার গোসল করতে কোনো বাধ নেই। গোসল করতে পারে। শুধু পানাহার আর স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।

১০।  রোজাবস্থায় লিপিস্টিক ব্যবহার করতে পারে? রোজাবস্থায় ব্যবহার করতে পারবে তবে যদি মুখে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে ব্যবহার করতে পারবে না।

সূত্র: স্টেপফিড ডটকম

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ