মুফতি আবদুল্লাহ তামিম
মাহে রমজানে তারাবি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। তাই রমজানে রোজার সঙ্গে সঙ্গে তারাবির নামাজ পড়ার গুরুত্বও অনেক বেশি। তারাবি নামাজ না পড়লেও রোজা হয়ে যাবে। তবে রোজার পরিপূর্ণ হক আদায় হবে না। তারাবি রমজান মাসের অন্যতম আমল ও বৈশিষ্ট্য। রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন,
مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সাওয়াবের আশায় রমজানে তারাবি নামাজ আদায় করবে, তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি-৭৫৯)
মূলত তারাবির সঙ্গে রোজার কোনো সম্পর্ক এখানেই যে এটা রোজার হক আদায় করে। তারাবি একটা ফজিলতের বিষয়। এটা সুন্নাত। এর মাধ্যমে রোজার হক আদায় হয়। আর রোজা একটা ফরজ ইবাদত। তবে তারাবি নামাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এ তারাবি রোজার চেয়ে গুরুত্বের দিক দিয়ে কোনো অংশে কম নয়।
রাসুল সা. এর হাদিস থেকেই স্পষ্ট বুঝা যায় বিষয়টি। রাসুল সা. বোখারি হাদিসের মধ্যে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোজ পালন করল ইমানের সঙ্গে, তার পূর্বের যত গুনাহ আছে আল্লাহ তায়ালা সব মাফ করে দেবেন।’
একই হাদিসের মধ্যে রাসুল সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে কিয়াম করবে বা সালাতুত তারাবি আদায় করবে তার পূর্ববতী যত গুনাহ আছে আল্লাহ তায়ালা সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবেন।’ (বুখারি-৭৫৯)
রমজান মাসে রোজার যত গুরুত্ব রয়েছে, ততটুকু তারাবির নামাজেরও গুরুত্ব রয়েছে। ফজিলতের দিক থেকে কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু দুটি ভিন্ন ইবাদত। তারাবি আদায় না করলে রোজা হয়ে যাবে এটা ঠিক।
-এটি