আওয়ার ইসলাম: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান বোঝাই রণতরী বর্তমানে হরমুজ প্রণালীর কাছাকাছি অঞ্চলে অবস্থান করছে। এতে বেশ চাপে রয়েছে হালের অন্যতম মুসলিম শক্তিধর ইরান।
পশ্চিমা হুংকার ও নানা নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেশটি তার পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টিকে শুরু থেকেই ভালোভাবে নেয়নি সৌদি আরব।
ইরানের ওপর হামলা চালাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে উসকানি দেয় সৌদি। এবার আমিরাতের বক্তব্য আরও চাপে রাখল ইরানকে।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ সম্পাদকীয়তে বলেছে, ইরান কোনোভাবেই ছাড় পেতে পারে না। তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
দুটি তেল পাম্পে সশস্ত্র ড্রোন হামলা হয়েছে। এর দুদিন আগেও আরব আমিরাত উপকূলে তেল ট্যাংকারে হামলা হয়েছে। ইরান ও তার ছায়াবাহিনী এর মধ্য দিয়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত হওয়া দরকার।
একই সুরে কথা বললেন আরব আমিরাতের উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী আনোয়ার গার্গাশ। এতে ইরানের ওপর চাপ আরও বাড়ল। আনোয়ার গার্গাশ বলেন, পুরো মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এর জন্য ইরান দায়ী, তাদের একগুয়ে আচরণের কারণেই এমন হচ্ছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএনকে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। হরমুজ প্রণালী ইরানের নিয়ন্ত্রণাধীন জলপথ। গুরুত্বপূর্ণ এ পথে বিশ্বের ৩০ ভাগ তেলবোঝাই জাহাজ চলাচল করে।
ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর পুরো হরমুজ প্রণালী অচল করার পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তেহরান।
আমিরাতের উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আমাদের দুর্দশার কারণ ইরান। ফুজাইরা উপকূলে কয়েকটি তেলবাহী জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর পেছনেও ইরানের হাত রয়েছে।
২০০৮ সালে প্রয়াত সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ ‘সাপের মাথা কেটে ফেলতে’ যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের নানা তৎপরতার কথা উল্লেখ করে তিনি ওই অনুরোধ করেন।
সূত্র: গাল্ফ নিউজ
-এটি