আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় দুই কোটি মানুষ কোনো না কোনো কারণে কিডনিজনিত রোগে ভুগছেন।
এদের মধ্যে প্রতিবছর অন্তত ৪০ হাজার মানুষের কিডনি একেবারে অকেজো হয়ে যাচ্ছে। ‘কিডনি ফাউন্ডেশন’ নামক বেসরকারী সংস্থার এক জরিপে এ তথ্য উঠে আসে।
যে সমস্ত রোগী কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য মাত্র দু’ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। এদের মধ্যে একটি হলো ডায়লাইসিস। অন্যটি হলো কিডনি প্রতিস্থাপন। তবে এই দুই ধরনের চিকিৎসা করতেই প্রচুর পরিমান অর্থের প্রয়োজন হয়।
কিন্তু অনেকের পক্ষেই এতো টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেজন্য অনেক রোগী চিকিৎসার অভাবে অকালে প্রাণ হারান।
এ বিষয়ে কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রধান অধ্যাপক হারুন আর রশিদ জানান, একদিকে রোগের চিকিৎসা যেমন ব্যয়বহুল। অন্যদিকে কিডনি ডায়লাইসিস বা প্রতিস্থাপনের সুবিধাও এখন পর্যন্ত সে হারে গড়ে ওঠেনি। প্রতিবছর ৪০ হাজার রোগীর কিডনি যে একেবারে অকেজো হয়ে পড়ছে তাদের সবার চিকিৎসা দিতে চাইলে আধুনিক হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার পাশপাশি উন্নত যন্ত্রপাতি নিয়ে আসতে হবে।
তবে তিনি মনে করিয়ে দেন, মধ্যম আয়ের দেশের মানুষের জন্য এতো মানুষের ডায়ালাইসিস সেবা নিশ্চিত সহজ ব্যাপার না, এক কথায় অসম্ভব।
আমাদের যে সুযোগ সুবিধা রয়েছে তাতে আমরা ৪০ হাজার রোগীর ২০ ভাগকে ডায়ালাইসিস সেবার আওতায় নিয়ে আসতে পারি। বাকি ৮০ ভাগ রোগী চিকিৎসার অভাবে অকালে মৃত্যুবরণ করেন।
তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সরকারের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে যদি কিডনিজনিত রোগীর চিকিৎসার জন্য ভালো কোনো উদ্যোগ হাতে নেয়া হয় তবে আগামী ২০ বছরের মধ্যে এ সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
-এটি