রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


নুসরাত হত্যার চার্জশিট ২৭ মে’র ভেতর, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৬ জন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ফেনী জেলার সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। আলোচিত এ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করা হবে আগামী ২৭ মে’র মধ্যেই।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আলামত, জবানবন্দি ও সাক্ষ্য-প্রমাণ থেকে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআই সূত্রে জানা যায়, পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ২১ জনের মধ্যে থাকা ওই ১৬ জন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হত্যায় অংশ নিয়েছে।

আলামতের ফরেনসিক রিপোর্ট, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও জবানবন্দির মাধ্যমে হত্যায় কার কী ভূমিকা ছিল, তা যাচাই করা হচ্ছে।

সূত্র মতে, নুসরাতকে হয়রানিমূলকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার ভিডিওচিত্র অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্তও শেষ পর্যায়ে। তদন্তে মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

আগামী ২৭ মে আদালতের নির্দেশে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা রয়েছে। ওই দিনের মধ্যেই সব তদন্ত শেষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে পিবিআই।

পিবিআইয়ের প্রধান, উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার বলেন, আইসিটি আইনে ওসির বিরুদ্ধে করা মামলার প্রতিবেদন দেয়ার তারিখ ২৭ মে। ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার আংশিক সত্যতা পাওয়া গেছে। নির্ধারিত দিনেই প্রতিবেদন দেব।

তিনি আরও বলেন, নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তাদের মধ্যে ১২ জনের জবানবন্দি আছে। ঘটনার আগে-পরে যারা মদদ জুগিয়েছে তারাও যাতে শাস্তি পায় সেসব বিষয় উপস্থাপন করেই চার্জশিট দেয়া হবে।

শ্লীলতাহানির চেষ্টায় মাদরাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে গত ২৭ মার্চ নুসরাতের মা সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে গ্রেফতার করে। এরপর মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় সিরাজউদ্দৌলার লোকজন।

গ্রেফতারকৃতদের প্রায় সবাইকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও পিবিআই। আসামিদের মধ্যে সিরাজ, পপি, জাবেদ, জোবায়ের, নূরুদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামিম, মনি, শরিফ, রানা, মামুন, শাকিল ও আব্দুল কাদের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে চারজন সরাসরি হত্যায় অংশ নেয়ার কথা জানান।

-এটি


সম্পর্কিত খবর