রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


‘চীনে রোজাদার মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধে বিশ্বমুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে কেবলমাত্র রোজা রাখার কারণে মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন করছে চীনা সরকার। দাড়ি, টুপি ও হিজাব পরিধানে বাধা এবং রোজাদার মুসলমানদের নির্যাতনের স্টিমরোলার চালাচ্ছে। অপরদিকে উইঘুরে ১০ লক্ষ মুসলমানকে বিশেষ কারাগারে বন্দি রেখে নির্যাতন এবং ধর্মান্তরিত করছে চীন।

আজ শুক্রবার বাদ জুমআ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে চীনে রোজাদার মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন ও মসজিদ ভাঙ্গা, পীযূষ বন্দোপাধ্যায় কর্তৃক ইসলাম নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয় না। বিগত তিন বছরে কমপক্ষে ৩০টি মসজিদ ভেঙ্গে দিয়েছে। আল্লাহর ফরজ বিধান রমজানে রোজা রাখার ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে তা সকল মুসলিম ও মুসলিম বিশ্বের সাথে সরাসরি যুদ্ধের শামিল। অবিলম্বে এই নিষেধাজ্ঞা এবং নির্যাতন বন্ধে বিশ্বমুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ছাত্রনেতা এম হাসিবুল ইসলাম, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আলহাজ্ব আব্দুল আউয়াল মজুমদার, ডা. শহিদুল ইসলাম, মুহা. হুমায়ূন কবির, মাসউদুর রহমান প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, চীনে মুসলমানদের রোজা রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা, ফিলিস্তিনে মুসলমানদের ওপর বর্বর নির্যাতন এবং পীযুষ বন্দোপাধ্যায় কর্তৃক সাম্প্রদায়িক উস্কানী সহ্য করা যায় না। বৈশ্বিক মুসলিম নির্যাতনরোধে জাতিসংঘ বার বার ব্যর্থ হয়েছে। সম্প্রীতি বিনষ্টকারী পীযূষদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এ পীযূষরা বার বার ইসলামকে তাদের লক্ষ্যস্থলে পরিণত করেছে, ইসলামকে কলঙ্কিত করতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। অবিলম্বে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার দায়ে পীযুষকে গ্রেফদার করে কঠোর শাস্তি দিতে ব্যর্থ হলে তৌহিদী জনতা রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে।

সমাবেশশেষে একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট থেকে চিরোপয়েন্ট, পল্টন মোড়ে গিয়ে মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত করা হয়।

এদিকে শুক্রবার ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের গেন্ডারিয়া, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, সবুজবাগ, হাজারীবাগ, শ্যামপুর থানায় পৃথক পৃথক ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব ইফতার মাহফিলে নগর সভাপতিসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

-েএটি


সম্পর্কিত খবর