শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
হজযাত্রীর জন্য চালু হচ্ছে হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, থাকবে অ্যাপ কুয়েট শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিন- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ  আইন করে ভারতে মুসলিমদের অধিকার হরণ করা যাবে না: জমিয়ত করাচি-চট্টগ্রাম রুটে নৌযান চলাচলকে স্বাগত জানিয়েছে দুই পক্ষ: পাকিস্তান ২৬ এপ্রিল জমিয়তের কাউন্সিল, প্রাধান্য পেতে পারে তরুণ নেতৃত্ব কওমি সনদ বাস্তবায়ন  করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব: ধর্ম উপদেষ্টা কোরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতেই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব: জামায়াত সেক্রেটারি গাজায় গণহত্যা ও ভারতে ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে জমিয়তের বিক্ষোভ ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় নিহত অন্তত ৩৮ ভারতীয় মুসলিমরা এখনই না জাগলে অধিকার নয়, পরিচয়ও হারাতে পারে

যে ৫টি কারণে রােজা না রাখার অনুমতি আছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মহিমান্বিত রমজান মাস চলছে। রমজান রহমতের মাস। বরকতের মাস। নাজাতের মাস। এ মাসে মুমিন-মুসলমানরা রোজা রাখেন। তবে বিভিন্ন শরয়ী অপরগতার কারণে অনেকে রোজা রাখতে পারছেন না। এমন কয়েকটি কারণ সম্পর্কে জেনে নেই, যেসব কারণে রোজা ছাড়ার অনুমতি রয়েছে। তবে এব কারণে রোজা ছাড়লে পরবর্তিতে তা কাজা করতে হবে।

১। যদি কেউ শরীয়ত সম্মত সফরে থাকে তাহলে তার জন্য রোজা না রাখার অনুমতি আছে; পরে কাজা করে নিতে হবে। কিন্তু সফরে যদি কষ্ট না হয়, তাহলে রােজা রাখাই উত্তম। আর যদি কোন ব্যক্তি রােজা রাখার নিয়ত করার পর সফর শুরু করে তাহলে সে দিনের রোজাটা রাখা জরুরি।

২। কোন রোগী ব্যক্তি রোজা রাখলে যদি তার রােগ বেড়ে যাওয়ার আশংকা হয় বা অন্য কোন নতুন রোগ দেখা দেয়ার আশংকা হয় অথবা রােগ মুক্তি বিলম্বিত হওয়ার আশংকা হয়, তাহলে রােজা ছেড়ে দেয়ার অনুমতি আছে। সুস্থ হওয়ার পর কাজা করে নিতে হবে।

তবে অসুস্থ অবস্থায় রােজাা ছাড়তে হলে কোন দীনদার পরহেজগার চিকিৎসকের পরামর্শ থাকা শর্ত, কিংবা নিজের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের ভিত্তিতে হতে হবে, শুধু নিজের কাল্পনিক খেয়ালের বশীভূত হয়ে আশংকাবােধ করে রোজা ছাডা দুরস্ত হবে না। তাহলে কাজা কাফফারা উভয়টা ওয়াজিব হবে।

৩। রােগ মুক্তির পর যে দুর্বলতা থাকে তখন রােজা রাখলে যদি পুনরায়  রােগাক্রান্ত হওয়ার প্রবল আশংকা হয় তাহলে রোজা না রাখার অনুমতি আছে, পরে কাজা করে নিতে হবে। |

৪। গর্ভবতী বা দুগ্ধদায়িনী স্ত্রী লােক রােজা রাখলে যদি নিজের জীবনের ব্যাপারে বা সন্তানের জীবনের ব্যাপারে আশংকাবােধ করে বা রােজা রাখলে দুধ শুকিয়ে যাবে আর সন্তানের সমূহ কষ্ট হবে-এরূপ নিশ্চিত হলে তার জন্য রােজা ছাড়া জায়েজ, পরে কাজা করে নিতে হবে।

৫। হায়েজ বা নেফাস অবস্থায় রোজা ছেড়ে দিতে হবে এবং পবিত্র হওয়ার পর কাজা করে নিতে হবে।

(মুফতি মোঃ হেমায়েত উদ্দিন রচিত আহকামে জিন্দেগী থেকে সংগৃহীত)

আরএম/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ