আওয়ার ইসলাম: মুসলিমবিরোধী সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো শ্রীলঙ্কায় দেশব্যাপী রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। মুসলিমবিরোধী দাঙ্গায় ১ জন নিহত হয়েছেন।
সহিংসতা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে চরম ডানপন্থি বৌদ্ধ গোষ্ঠীর এক নেতাও রয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন শহরে দাঙ্গাকারীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। দেশটির এমন পরিস্থিতি শান্ত থাকতে এবং ঘৃণা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শ্রীলংকা সরকার। চলমান মুসলিমবিরোধী সংঘাত থামানোর অঙ্গীকারের কথা জানাতে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র এবং পুলিশ প্রধান এমন আভাস দিয়েছেন।
উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের মারাউয়িলি হাসপাতাল থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ছুরিকাহত ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার মৃত্যু হয়। নিহতের নাম মুহাম্মদ আমীর মুহাম্মদ সালি।
উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের মুসলিম অধ্যুষিত অংশগুলোর বাসিন্দারা জানান, উচ্ছৃঙ্খল জনতা দ্বিতীয় দিনের মতো মসজিদগুলোতে হামলা চালিয়েছে। তাদের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তছনছ করেছে।
প্রতিহিংসার আশঙ্কায় পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে কোট্টামপিটিয়া এলাকার এক বাসিন্দা টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেছেন, কয়েকশ’ দাঙ্গাকারী ছিল, পুলিশ ও সেনাবাহিনী শুধু দেখছিল। তারা আমাদের মসজিদগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে এবং মুসলিমদের মালিকানাধীন বহু দোকান গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ আগেই দেশটিতে ইস্টার সানডে উদযাপনের সময় কয়েকটি গির্জা ও অভিজাত হোটেলসহ আট স্থানে একযোগে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় ২৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়।
হামলার পর থেকেই দেশটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যেই দেশজুড়ে মুসলিমবিরোধী সহিংসতা শুরু হয়েছে। ইস্টার সানডের দিন আত্মঘাতী বোমা হামলার পর দ্বীপদেশটিতে এটাই সবচেয়ে বড় দাঙ্গা।
এএ