রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


রোজা শরীরে যেসব পরিবর্তন আনে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ: সিয়াম সাধনার মাস রমজান চলছে। সারাবিশ্বের মুসলমানরা রমজানের রোজা রাখছেন। এটা আল্লাহ তায়ালার বিধান। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মুসলমানদের উপর এক মাস রোজাকে ফরজ করেছেন।

ইরশাদ করছেন, ‘হে ঈমানদারগণ, আমি তোমাদের উপর রোজা ফরজ করেছি। যেভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করেছিলাম। যাতে করে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’

দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার কারণে রোজাদারের শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে। এ পরিবর্তন যেভাবে শারিরিকভাবে ঘটে। একইভাবে আমলেও অনেক পরিবর্তন ঘটে। তবে আজ শুধু বিজ্ঞানের আলোকে শারিরিক পরিবর্তন নিয়ে কথা বলবো।

আমরা রমজান ও রমেজানের বাইরে যে খাবার খাই, পাকস্থলীতে তা পুরোপুরি হজম হতে এবং এর পুষ্টি শোষণ করতে অন্তত আট ঘণ্টা সময় নেয় শরীর। যখন এই খাদ্য পুরোপুরি হজম হয়ে যায়, তখন শরীর যকৃৎ এবং মাংসপেশীতে সঞ্চিত গ্লুকোজ থেকে শক্তি শুষে নেওয়ার চেষ্টা করে।

বিজ্ঞান বলছে, রমজানে আমরা যে সারাদিন উপোস থাকি এর দ্বারা শরিরে চর্বি কমতে থাকে। এতে করে আমাদের ওজন কমতে থাকে। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। তবে যেহেতু রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়,  তাই এ সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষুধা পায়।

রোজার ৩য় থেকে ৭ম দিন :

প্রথম কয়েকদিনের পর আপনার শরীর যখন রোজায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছে, তখন শরীরে চর্বি গলে গিয়ে তা রক্তের শর্করায় পরিণত হচ্ছে। তবে এ সময় দিনের বেলায় পানি পান করতে না পারায় রোজা ভাঙার পর অবশ্যই প্রচুর পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি যথেষ্ট শক্তিদায়ক খাবার খেতে হবে। যেখানে সব ধরণের পুষ্টি, প্রোটিন, লবণ এবং পানি থাকবে।

রোজার ৮ম থেকে ১৫ তম দিন :

এই পর্যায়ে এসে আপনি অনুভব করতে পারবেন যে আপনার শরীর মন ভালো লাগছে। কারণ রোজার সঙ্গে আপনার শরীর মানিয়ে নিতে শুরু করেছে। সাধারণত দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাই এবং এর ফলে আমাদের শরীর অন্য অনেক কাজ ঠিকমতো করতে পারে না। কিন্তু রোজার সময় উপোস থাকার কারণে শরীর অন্যান্য কাজের দিকে মনোযোগ দিতে পারে। যেমন শরীর নিজেই নিজেকে সারিয়ে তুলতে পারে এই সময়।

রোজার ১৬ তম হতে শেষ দিন :

রমজান মাসের দ্বিতীয়ার্ধে আপনার শরীর পুরোপুরি রোজার সঙ্গে মানিয়ে নেবে। শরীরের পাচনতন্ত্র, লিভার, কিডনি এবং ত্বক এখন এক ধরনের পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাবে। সেখান থেকে সব দূষিত বস্তু বেরিয়ে শরীর শুদ্ধ হয়ে উঠবে।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ