শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতি দিয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণ সম্ভব নয়’ ৫ বছর আগের এই দিনে কী হয়েছিল মাওলানা আনসারীর জানাজায়? হজযাত্রীর জন্য চালু হচ্ছে হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, থাকবে অ্যাপ কুয়েট শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিন- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ  আইন করে ভারতে মুসলিমদের অধিকার হরণ করা যাবে না: জমিয়ত করাচি-চট্টগ্রাম রুটে নৌযান চলাচলকে স্বাগত জানিয়েছে দুই পক্ষ: পাকিস্তান ২৬ এপ্রিল জমিয়তের কাউন্সিল, প্রাধান্য পেতে পারে তরুণ নেতৃত্ব কওমি সনদ বাস্তবায়ন  করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব: ধর্ম উপদেষ্টা কোরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতেই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব: জামায়াত সেক্রেটারি গাজায় গণহত্যা ও ভারতে ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে জমিয়তের বিক্ষোভ

রোজাবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙবে কি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি মোস্তফা ওয়াদুদ কাসেমী: ভার্সিটির ছাত্র মুরাদ। বয়স ১৮ । সুঠামদেহের লম্বা বালক। ওকে দেখলে কেউ বলবে না ওর বয়স ১৮। বরং ২৫ বছরের টগবগে যুবকের মতো দেখা যায়।

এখন রমজান চলছে। মুরাদ সবগুলো রোজা রাখছে। কিন্তু ওর বন্ধুদের কাছে ওর স্বপ্নদোষের কথা বললে ওরা বলে যে, মুরাদ তোর রোজা হবে না।মুরাদ চিন্তায় পড়ে যায়। তাহলে কি এতদিনের রোজা বিফলে গেলো? এদিকে ওর স্বপ্নদোষও বন্ধ হচ্ছে না। তাই সঠিক মাসআলা জানতে মুরাদ স্মরণাপন্ন হয়েছে মুফতি সাহেবের কাছে।

পূর্ণ ঘটনা বর্ণনা করে প্রশ্ন করেছে মুরাদ। রমজানে দিনের বেলা স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙবে কি? আমার এতদিনের রোজা কি সঠিক হয়েছে? দলিলসহ জানালে উপকৃত হবো।

উক্ত মাসআলার উত্তর হলো, না। স্বপ্নদোষের কারণে রোজা ভাঙবে না। সুতরাং আপনার রোজা সঠিক হয়েছে। আপনার বন্ধুদের কথা সঠিক হয়নি। মোটকথা রমজান মাসে দিনের বেলা ঘুমানোর পর যে স্বপ্নদোষ হয়। তাতে রোজা ভাঙবে না।

কেননা হাদিসে আছে, আবু সাঈদ খুদরী রা. বলেন, নবি করিম সা. বলেছেন, তিনটি জিনিস রোজা ভঙ্গের কারণ নয় । যথা- বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ। (সুনানে নাসাঈ, বাইহাকী ৪/২৬৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/৩৯৬)

তবে এ স্বপ্নদোষ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে না হতে হবে। এমনিভাবে যদি কোনো ব্যক্তির চিন্তায় আচমকা কোনো যৌন ভাবনা এসে উদয় হয় বা কোনো যৌন উত্তেজক চিন্তা চলে আসে যা সে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মাথায় আনেনি। আর এতে তার বীর্যপাত ঘটে যায় তাহলেও তার রোজা ভাঙবে না। এক্ষেত্রে হুকুম হলো, স্বপ্নদোষ হয়েছে এমনটা বোঝা মাত্রই ফরয গোসল করে নিজেকে পবিত্র করে নিতে হবে।

আর বমির ব্যাপারে হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি অনিচ্ছায় বমি করল তার রোজা ভাঙবে না। পরে তাকে রোজাটি কাযাও করতে হবেনা। কিন্তু যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বমি করল তার রোজা অবশ্যই কাযা করতে হবে। (সুনানে আবূ দাউদ- ২৩৮০)

এ সংক্রান্ত আরেকটি মাসআলা হলো, হস্তমৈথুন। কেউ যদি হস্তমৈথুন বা অন্য কোনোভাবে স্বেচ্ছায় বীর্যপাত ঘটায় তাহলে তার রোজা ভেঙে যাবে। এবং তাকে রোজার কাযা কাফফারা উভয়টি আদায় করতে হবে।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ