শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৩০ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সংষ্কার কাজ দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: মুফতী ফয়জুল করীম আজারবাইজান থেকে দেশে ফিরেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস মারকাযুল ফুরকান শিক্ষা পরিবার পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পাসের ভর্তি কার্যক্রম শুরু ৪৯ দিনে কোরআন হিফজ করা বিস্ময় শিশু হাবিবুরকে ছাত্র মজলিসের সংবর্ধনা কাল বাংলাদেশে আসছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী, জেনে নিন সফরসূচি আলেমদের রাজনীতি আল্লাহর নবীদের রাষ্ট্রীয় উত্তরাধিকার: মাওলানা ফজলুর রহমান হেফাজতে ইসলাম পিরোজপুর জেলা শাখা কমিটি গঠিত বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার আশ্বাস আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত: ড. ইউনূস সাতকাছেমিয়া মাদরাসায় তিন দিনব্যাপী সম্মেলন আগামীকাল থেকে শুরু

আলেমরা মিডিয়াতে কেন আসবেন, উত্তরে মাওলানা আহমদ আলী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শনিবার (১১ মে) আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম এর উদ্যোগে আয়োজিত ২০ দিন ব্যাপী 'লেখালেখি ও সাংবাদিকতা' কোর্সে’র ৫ম দিনে ‘লেখকের মেজাজ ও দাঈর মেজাজ' বিষয়ে ক্লাস নিয়েছেন বিশিষ্ট আলেম ও দাঈ মাওলানা আহমদ আলী। তার বক্তব্যের চুম্বকাংশ পাঠকের জন্য দেয়া হলো- 


সাংবাদিকতার প্রথম শর্ত বিশ্বস্ত হওয়া। একজন বিশ্বস্ত সাংবাদিক সত্যিকারের বার্তাবাহক।
হযরত জিবরাঈল আ. একজন সাংবাদিক ছিলেন। তিনি রাসূল সা. এর কাছে খবর নিয়ে আসতেন এবং তিনি বিশ্বস্ত ছিলেন।

রাসূল সা. হলেন বার্তাবাহক। রাসূল শব্দের অর্থই হলো দূত বা বার্তাবাহক। তিনিও সত্যবাদী ছিলেন। রাসূলে কারীম সা. তার ৬৩ বছরের জীবনে কখনো মিথ্যা বলেননি। তখনকার কাফেররাও তাকে বিশ্বাস করতেন। ভালবাসতেন। বিশ্বাস করে তারা তাঁর উপাধি দিয়েছিলেন আল-আমিন।

এজন্য সাংবাদিকতার বিষয়টি বিশ্বাসের সাথে সম্পৃক্ত। সবার আগে আপনাকে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। আপনি যখন মানুষের আস্থা অর্জন করে নিবেন, তখন মানুষ আপনার সংবাদকে বিশ্বাস করবে। আপনি হবেন একজন সত্যিকারের সাংবাদিক।

এরপর আসবে তাকওয়ার বিষয়। আপনাকে একজন তাকওয়াবান হতে হবে। মনে রাখতে হবে রিজিক আল্লাহ তায়ালা দান করবেন। আপনি যদি তাকওয়াবান হয়ে যান তাহলে আল্লাহ তায়ালা কোত্থেকে আপনার রিজিকের ব্যবস্থা করবেন আপনি নিজেও বুঝবেন না।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ومن يتق الله يجعل له مخرجا .

আর লিখতে হবে ভীতি মুক্ত হয়ে। কলমকে সঠিকভাবে চালাতে হবে। আপনি কাউকে ভালবাসেন। সে খারাপ কিছু করলেও কলম ধরেন না। আর আপনি যাকে খারাপ ভাবেন তার বিরুদ্ধে কলম কখনো নামে না। এমন হলে চলবে না। কলম চালাতে হবে ভয় ভীতির উর্দ্ধে উঠে। মনে রাখতে হবে মৃত্যু যেদিন লেখা আছে, সেদিন হবেই। মৃত্যুর ভয়ে লেখা থেকে পিছপা হওয়া যাবে না।

আরেকটা কথা বলি, পৃথিবীর সব কালো অন্ধকার কিন্তু কলমের কালো কালি আলোকিত। আর আপনারা এমন এক কালো নিয়ে খেলা শুরু করেছেন, যা পৃথিবীকে আলোকিত করে দিবে। তবে এর জন্য প্রয়োজন সততা, বিশ্বস্ততা ও আদর্শিকধারায় কলম পরিচালনা করা।

হযরত বেলাল রা. কালো ছিলেন। কিন্তু আলোকিত মানুষ ছিলেন। মালয়েশিয়ায় মসজিদের যারা মুয়াজ্জিন হয় তাদের বেলাল বলা হয়। কত সম্মান আজ বেলাল নামের। অথচ বেলাল রা. ছিলেন কালো। আর আপনারা সে কালো নিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন।

মিডিয়ার ব্যাপারে মাওলানা তারিক জামিলের একটি বক্তব্য উপস্থাপন করতে চাই। মাওলানা তারিক জামিল যখন মিডিয়ায় আসেন, তখন অনেক হক্কানী আলেম মিডিয়ার ব্যাপারে বিমুখ ছিলেন এবং তারা তাঁর ব্যাপারে উদাসীনতা প্রকাশ করেন।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, যারা বলেন মিডিয়া নেগেটিভ বিষয়। আমি তাঁদের সম্মান করি। আর যারা বলেন মিডিয়া পজেটিভ বিষয় আমি তাঁদেরও সম্মান করি। তবে আমি দ্বিতীয় দলেরটা গ্রহণ করেছি। কেননা তারাও হক্কানী আলেম। তাদের অন্যতম পাকিস্তানের মুফতি তাকি উসমানি, সৌদি আরবের শায়খ আব্দুল হাফিজ মক্কী রহ. প্রমুখ।

অনুলিখন-  মোস্তফা ওয়াদুদ

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ