তামিম আহমেদ
সাংবাদিক
সারাদিন ব্যস্ত সময় কাটানোর পর ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘুম থেকে উঠে পত্রিকায় চোখ বোলাতেই দেখা যায় ধষর্নের খবর- শিরোনাম। তখন এই বুকটা কষ্টে ফেটে যায় আর চোখ ভিজে ওঠে জলে। টেলিভিশন-রেডিওতে কান পাতলেই শোনা যায়, শত শত ধষির্তা নারীর আর্তনাদ ও স্বজনের বুকফাটা চিৎকার।
হে ধর্ষণকারী পুরুষ! তুমি কি জানো কত বড় অপরাধ করে যাচ্ছ দিনের পর দিন? তোমার কারণে সমাজ থেকে বিলুপ্ত হচ্ছে মানবিকতা। আমি মনে করি, তোমাদের মত মানুষ আমার এই জন্মভূমিতে বসবাস করার অযোগ্য। তোমাদের মত কিছু পুরুষের জন্য পুরো পুরুষ জাতি কলঙ্কীত হচ্ছে।
আজ মনে হচ্ছে, তোমাদের মত কিছু পুরুষের জন্য নীতি নৈতিকতা নামের অবশিষ্ট বস্তুটুকু এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে । হে ধষর্নকারী! তুমি কি একটিবার ভাবতে পারো না তোমারও তো মা আছে, বোন আছে!
যদি কখনো তুমি শুনতে পাও যে তোমার বোন ধষির্তা হয়েছে, তখন তোমার হৃদয় কী কাঁদবে না? যে নারীকে তুমি ধর্ষণ করছো, তারও ভাই আছে-বোন আছে। তাদেরও তো তোমার মতোই খারাপ লাগার কথা।
তুমি একটু ভাবো! আমার তো মনে হয়, যদি ভাবনাটুকু তোমার মনে একটুও দাগ কাটে তো কোনও নারীর দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকানোর সাহস তুমি পাবে না। সুতরাং, এমন কাজ না করে, তুমি তোমার সম্মান তালাশ করো।
আমার প্রাণের দেশে আর কোনো ধর্ষণের খবর- শিরোনাম দেখতে চাই না। আমি চাই না, নুসরাতের মতো মৃত্যু হোক আমার অন্য কোন বোনের। আমি চাই, আমার দেশে এমন একটা আইন হোক যে আইনে ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়।
-এটি