আওয়ার ইসলাম: চেতনতা, দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘কওমী ফোরাম’ ফোরামের ব্যানারে ‘শিক্ষাঙ্গনে অনৈতিকতা রোধে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় সকাল ১০ টা থেকে এ সেমনিার শুরু হয়। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনার থেকে শিক্ষাঙ্গনে নৈতিক অবক্ষয় রোধে ৭ দফা দাবি ও সুপারিশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বরাবর পেশ করা হয়।
৭ দফা দাবি ও সুপারিশ-
১. নারীদের জন্য পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে পাঠদান এবং পাঠগ্রহণ সহ যাবতীয় কার্যক্রম নারীরাই পরিচালনা করবেন।
২. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি গঠনে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করতে হবে। অর্থাৎ শিক্ষিত ও শিক্ষানুরাগী এবং শিক্ষার মূল্য অনুধাবন করতে সক্ষম এমন ব্যক্তিরাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হবেন।
৩. শিক্ষক নিয়োগে রাজনৈতিক বিবেচনার মূলোৎপাটন করতে হবে। শিক্ষার জন্য নিবেদিত প্রাণ, মেধাবী ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত এমন লোকদেরকেই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।
৪. যারা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে অর্থাৎ শিক্ষকতার মেজাজ নেই, কেবল জীবিকা নির্বাহের খাতিরে এ পেশায় আত্মনিয়োগ করেছে, তাদেরকে শিক্ষকতা থেকে দূরে সরিয়ে দিতে হবে।
৫. ছাত্র, শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান বিষয়ক সমস্যা সরাসরি সরকার প্রধানকে অবহিত করা যায় এমন কোন পথ খুলতে হবে। প্রয়োজনে এর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে কোন সেল গঠন করা যেতে পারে।
৬. শহরকেন্দ্রিক গণপরিবহন গুলো দুই দরজা বিশিষ্ট হতে হবে। সামনের দরজা দিয়ে কেবল নারীরা আরোহন ও অবতরণ করবেন। পেছনের দরজা বরাদ্দ থাকবে পুরুষদের জন্য। প্রয়োজনে গণপরিবহনের মধ্যখানে পার্টিশনের ব্যবস্থা করে নেয়া যেতে পারে। যাতে নারীদের চলাফেরা নির্বিঘ্ন ও নিষ্কণ্টক হয়।
৭. মহান আল্লাহ তাআলার ফরজ বিধান পর্দার প্রতি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করতে হবে। ধর্ম ও নৈতিকতার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে শিক্ষার সকল স্তরে। যৌন উত্তেজনা ও উম্মাদনা সৃষ্টিকারী সমস্ত আয়োজন যথা অশ্লীল নাটক, সিনেমা, ম্যাগাজিন, ওয়েবসাইট ইত্যাদি বন্ধ করে দিতে হবে।
কওমী ফোরাম সমন্বয়ক মাওলানা মামুনুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা হাসান জামিল, মুফতী এনায়েতুল্লাহ, মুফতী মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম, মুফতী তোফায়েল গাজালী, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা ইয়াকুব উসমানী, মুফতী দ্বীন মুহাম্মদ, মাওলানা মাহবুব নবাবগঞ্জী, মুফতী আবুল কালাম তৈয়্যবী, মুফতী রিজওয়ান রফিকী, মাওলানা ইনআমুল হক আইয়ুবী, মুফতী আখতার হাফেজ্জী, মাওলানা আবুল বাশার রিজওয়ান, মাওলানা ফরহাত আশরাফী, মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ্, মুফতী সাইমুম সাদী ভাই, মাওলানা আজহারুল ইসলাম আজমী, মুফতী আব্দুর রহিম আল মাদানী, মুফতী রাফি বিন মনির, মুফতী খালিদ সাইফুল্লাহ্ নুমানী, মাওলানা আনোয়ার আনসারী, মুফতী আবসার সিদ্দিকী প্রমুখ।
আরএম/