আওয়ার ইসলাম: প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় সম্মিলিত কওমি মাদরসা শিক্ষা বোর্ড ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ দাওরায়ে হাদীস (তাকমিল) পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর আজ (২৩ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পুনরায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ৩ মে পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা।
৬টি কওমি মাদরাসাভিত্তিক শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর কেন্দ্রীয় এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।
এদিকে, আজ সকাল ৯টা থেকে থেকে ফজিলত ২য় বর্ষের (মেশকাত) পুন:পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এর আগে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে এ শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিল করে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ। পরীক্ষা চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
এ পরীক্ষায় মোট ১৯ হাজার ৩২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিবে। ৩৯৩টি পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে, তার মধ্যে ১৭০টি পুরুষ কেন্দ্র, ২২৩টি মহিলা কেন্দ্র। পুরুষ নেগরান ও মহিলা নেগরান মোট ১০৯১ জন থাকবে।
অন্যদিকে, পরীক্ষা সুশৃঙ্খল-সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য হাইআতুল উলয়া শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি সর্বক্ষণ পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করবে। কোন ধরনের অনিয়ম হলে বা কেউ কোন ধরনের অবৈধ পন্থা অবলম্বন করলে পর্যবেক্ষণ কমিটি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং অপরাধীকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করবে।
হাইয়াতুল উলয়ার নেতৃবৃন্দ পরীক্ষার্থীদের মনোযোগ সহকারে এবং আইন মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান এবং সকল পরীক্ষকগণকে আইন মেনে হল পরিচালনা এবং পরীক্ষা গ্রহণের অনুরোধ করেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদে ‘কওমি মাদরাসা সমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল)-এর সনদকে আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীনে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল ২০১৮’ পাস করার পর প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল ২০১৭ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি শিক্ষা সনদের মান ঘোষণা করার পর হাইআতুল উলয়ার অধীনে ৬ বোর্ডের সম্মিলিত দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা ইতোপূর্বেও দুইবার (১৬-১৭ ও ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এমএম/