আওয়ার ইসলাম: আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে ভোটার তালিকার হালনাগাদের কাজ শুরু হচ্ছে। এদিন থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। চলবে ১৩ মে পর্যন্ত।
২৫ মে থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। এবার ৮০ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যদের ১৬ বছর হয়েছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করবে। এরা ১৮ বছর হলেই ভোটার হবেন।
ইসি সূত্র জানায়, ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম এ রকম নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের নাম ২০২০ সালে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
যাদের বয়স এখনো ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি, তাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
হালনাগাদ কার্যক্রমে মোট তথ্য সংগ্রহকারী থাকবে ৫২ হাজার ৫০০ জন, সুপারভাইজার ১০ হাজার ৫০০, টেকনিক্যাল সাপোর্টে থাকবে ৬৪ জন এবং রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্র থাকবে ৭৮০ পয়েন্টে।
কোনো কারণে তথ্য সংগ্রহের সময় কেউ যদি বাদ পড়েন তবে তিনি নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়েও তার তথ্য দিয়ে নিবন্ধিত হতে পারবেন।
প্রথম পর্যায়ে যেসব এলাকায় তথ্য সংগ্রহ
ইসির তথ্য মতে, প্রথম ধাপে যেসব উপজেলা/থানার তথ্য সংগ্রহ করা হবে, সেগুলো হলো রংপুর অঞ্চলের পঞ্চগড় সদর, ঠাকুরগাঁও সদর, দিনাজপুর সদর ও নবাবগঞ্জ, নীলফামারীর সদর ও ডিমলা, লালমনিরহাট সদর, রংপুর সদর ও পীরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম সদর ও রৌমারী, গাইবান্ধা সদর ও ফুলছড়ি।
রাজশাহী অঞ্চলের জয়পুরহাট সদর, বগুড়া সদর, দুপচাচিয়া ও সারিয়াকান্দি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট, রাজশাহীর বোয়ালিয়া, রাজপাড়া, নাটোরের সদর ও সিংড়া, সিরাজগঞ্জের সদর ও তাড়াশ এবং পাবনার সদর ও ঈশ্বরদী।
খুলনা অঞ্চলের মেহেরপুর সদর, কুষ্টিয়া সদর ও দৌলতপুর, চুয়াডাঙ্গা সদর, ঝিনাইদহ সদর ও হরিণাকুণ্ডু, যশোর সদর, অভয়নগর ও বাঘারপাড়া, মাগুরা সদর, নড়াইল সদর, বাগেরহাট সদর ও শরণখোলা, খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা ও দৌলতপুর এবং সাতক্ষীরা সদর ও তালা।
বরিশাল অঞ্চলের বরগুনা সদর, পটুয়াখালী সদর ও গলাচিপা, ভোলা সদর ও মনপুরা, বরিশাল সদর, আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী, ঝালকাঠি সদর এবং পিরোজপুর সদর ও নেছারাবাদ।
ফরিদপুর অঞ্চলের গোপালগঞ্জ সদর ও টংগীপাড়া, মাদারীপুরের কালকিনি, শরীয়তপুর সদর ও ডামুড্যা, ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও সদরপুর এবং রাজবাড়ী সদর।
ঢাকা অঞ্চলের মানিকগঞ্জ সদর ও শিবালয়, মুন্সীগঞ্জ সদর ও গজারিয়া, নরসিংদীর মনোহরদী ও পলাশ, নারায়ণগঞ্জ সদর ও আড়াইহাজার, ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার, সূত্রাপুর, কোতোয়ালি ও ডেমরা এবং গাজীপুরের শ্রীপুর, কালিগঞ্জ ও কাপাসিয়া।
ময়মনসিংহ অঞ্চলের টাঙ্গাইল সদর, সখীপুর ও ঘাটাইল, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ, শেরপুরের শ্রাবর্দী, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া, ভালুকা, ঈশ্বরগঞ্জ ও গফরগাঁও, নেত্রকোনা সদর ও কলমাকান্দা এবং কিশোরগঞ্জ সদর, পাকুন্দিয়া ও তাড়াইল।
সিলেট অঞ্চলের সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর, সিলেট সদর, বালাগঞ্জ ও কানাইঘাট, মৌলভীবাজার সদর ও শ্রীমঙ্গল এবং হবিগঞ্জ সদর ও বাহুবল।
কুমিল্লা অঞ্চলের ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সদর ও নাসিরনগর, কুমিল্লার লালমাই, ব্রাহ্মণপাড়া, বুড়িচং, লাকসাম ও হোমনা, চাঁদপুর সদর ও হাজীগঞ্জ, ফেনী সদর ও পরশুরাম, নোয়াখালী সদর, কোম্পানিগঞ্জ ও সেনবাগ এবং লক্ষ্মীপুর সদর ও রামগতি।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডু, মিরসরাই, কর্ণফুলী, লোহাগড়া, চন্দনাইশ ও আনোয়ারা, কক্সবাজার সদর ও কুতুবদিয়া, খাগড়াছড়ি সদর, রাঙ্গামাটি সদর ও বান্দরবান সদর।
এমএম/