আওয়ার ইসলাম: ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামি জাবেদ হোসেন জানান, তিনি নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢালেন। এরপর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আরেক আসামি কামরুন নাহার মণি জানান, নুসরাতকে ছাদে জোর করে শোয়ানোর পর তাকে (নুসরাত জাহান রাফিকে) চেপে ধরেছিলেন তিনি।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারাফ উদ্দিন আহম্মদের আদালতে তাদের উপস্থাপন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সেখানে নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় নিজেদের সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তার সহপাঠী কামরুন্নাহার মনি ও জাবেদ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, কামরুন নাহার মণিকে ১৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার করে পরদিন পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। তিনি হত্যার ঘটনায় অংশ নেওয়া পুরুষদের জন্য তিনটি বোরকা সরবরাহ করেন।
অন্যদিকে জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদকে ১৩ এপ্রিল গ্রেপ্তার করে ওই দিনই আদালতের মাধ্যমে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার আবার আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে।
এর আগে কামরুন নাহার মনিকে ১৫ এপ্রিল সোনাগাজী থেকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার মনিকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় পিবিআই। সে সময় মনি কিভাবে নুসরাতকে হত্যা করা হয়েছে তার বর্ণনা দেন। অপরদিকে জাবেদকে গত ১৩ এপিল চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
-এএ