সুফিয়ান ফারাবী
সাভার থেকে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে পবিত্র কুরআন শরিফকে অবমাননা করায় এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় সেফাতুল্লাহ ওরফে সেফুদাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে 'সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ'-এর ব্যানারে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি উত্থাপন করে। দাবিগুলো হলো-
১. সেফাতুল্লাহ ওরফে সেফুদাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হবে।
২. সেফুদা যদি মানসিক ভারসাম্যহীন হয় তবে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে হবে।
৩. আর সেফুদা যদি মানসিক ভারসাম্যহীন না হয়ে ভণ্ড হয়, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
৪. ইউটিউবসহ সকল সোশ্যাল মিডিয়ায় তার প্রচারণা বন্ধ করতে হবে।
মানববন্ধনে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম মহিম বলেন, 'সেফুদা পবিত্র কুরআন শরিফের পাতা ছিঁড়ে কমোডে ফেলে একটি জঘন্য অপরাধ করেছে, সে ইসলামকে জঘন্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে, সে এই দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে, তাই আমি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তাকে যেন আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়, সেই সাথে তাকে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।'
বাংলা বিভাগের ৪৬তম আবর্তনের জহিরুল ইসলাম ফয়সাল বলেন, 'সেফুদার কারণে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, শুধু তাই নয় সেফুদা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের সমাজে অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে। সে মদ নিয়ে লাইভে এসে তরুণ সমাজকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। সে মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এ দেশের মুসলমানদের ব্যাহত করেছে, বাংলাদেশ সরকার যেন দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য তাকে আইনের অধীনে নিয়ে আসে।'
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) ফেসবুক লাইভে এসে কুরআনের পাতা ছিঁড়ে ওয়াশরুমের কমোডে ফেলে এবং কুরআন অবমাননা করে মুসলিমদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন সেফাতুল্লাহ। এরপরই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
আরএম/