শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

পশুপূজার কবলে আমাদের সংস্কৃতি, বিজ্ঞানমনস্করা কোন পথে ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কামরুল হাসান নকীব
আলেম ও গবেষক

The idea that divinity embodies itself in animals, such as deity incarnate, and then lives on earth among human beings is disregarded by Abrahamic religions.

Morris, Brian (2000). page 26 "Animals and Ancestors: An Ethnography", Berg, New York

অর্থাৎ, দেবতারা পৃথিবীতে মূর্তিমান হয়ে কিংবা সৃষ্টির রূপ ধারণ করে মানুষের মাঝে বসবাস করেন, এ জাতীয় অবতারবাদ তথা স্রষ্টার বিভিন্ন পশুর মাঝে প্রকট হওয়াকে ইবরাহীমি ধর্মে ( ইয়াহুদি, খ্রীস্টান ও ইসলাম ধর্মে) অসমর্থন জানানো হয়েছে।

পৃথিবীর প্রাচীন প্রায় সব সভ্যতাগুলোতেই Animal Worship বা পশুপূজার নমুনা পাওয়া যায়। পশুকে কল্যাণ ও অকল্যাণের বাহক কল্পনা ছিল এর প্রধান কারণ। আব্রাহামিক ধর্মগুলো বা দিনে ইবরাহীম আ. ( ইবরাহীম আ. পূর্ববর্তী নবিদের ধর্মও এই 'আব্রাহামিক ধর্ম' পরিভাষাভুক্ত) বরাবরই এইসব বিশ্বাসকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও পশ্চাদপদ বলে আখ্যা দিয়েছে। তাই ইয়াহুদি খ্রীস্টান এবং ইসলাম ধর্মে এই পশুপূজার কোন অস্তিত্ব নেই।

প্রাচীন পৃথিবীর এইসব রীতিনীতি আধুনিক যুগে অচল। বিজ্ঞান এসব চর্চাকে অন্ধকারাচ্ছন্ন চর্চা বলে বিশ্বাস করে। তাই অনেক মানুষ এখন বুঝতে শিখেছে এইসব পশুপাখি কখনোই কল্যাণ ও অকল্যাণের কিংবা শুভাশুভের বাহক হতে পারে না।

এতদসত্ত্বেও কিছু মানুষ যারা নিজেদেরকে প্রগতিশীল ও বিজ্ঞানমনস্ক বলে দাবি করে যত্রতত্র গলা ফাটান তারা যখন এসব প্রাচীন পৌত্তলিকতা ও অবৈজ্ঞানিক চর্চাকে প্রমোট করেন তারা পৃথিবীকে কি সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন নাকি পিছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, প্রশ্ন করতে মন চায়।

এসব কথা বিজ্ঞানের পক্ষের কথা। তবুও এসব বললে এখন প্রতিক্রিয়াশীল তকমা দিয়ে দেওয়া হয়। টকশোগুলোতে পাতি-বুদ্ধিজীবীরা ধার্মিক মুসলিমদের চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করে ছাড়েন।

এখানে কিছু প্রশ্ন খুবই প্রাসঙ্গিক, প্রকৃতঅর্থে প্রতিক্রিশীল কারা? যারা অবৈজ্ঞানিক চর্চাকে প্রমোট করে তারা? নাকি যারা অবৈজ্ঞানিক চর্চাকে প্রত্যাখ্যান করে তারা? এসবের সঠিক উত্তর বাংলাদেশের ঘোলাটে বুদ্ধিচর্চার পরিসরে কখনোই মিলবে না।

যত দোষ ধর্ম ও ধার্মিকের। এরাই নাকি কেবল বিজ্ঞানের পথে চলতে পারে না। অথচ বিজ্ঞানের যারা ধারক বাহক বলে নিজেদের দাবি করেন তারাই পহেলা বৈশাখে মঙ্গল প্রদীপ ও প্যাঁচার কাছে আশ্রয় নিবেন মঙ্গলের আশায় এবং অমঙ্গল থেকে বাঁচার আকাঙ্খায়। আর যদি তারা নিছক সংস্কৃতিচর্চার খাতিরে এসব করে থাকেন তাহলে এই বিশাল অনর্থকতা ও অপচয়বৃত্তির মানে কী? কী কল্যাণ এই পৌরাণিক চর্চায়?

এই সব 'যাগযজ্ঞে' কারা অংশ নিবেন? ধার্মিক মুসলিমরা? কখনোই না। তাহলে অবৈজ্ঞানিক চর্চা কারা করছেন? নিশ্চয়ই তথাকথিত বিজ্ঞানমনস্করা!

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ