আওয়ার ইসলাম: মাদরাসাছাত্রী নুসরাতকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার আট জনের মধ্যে চারজনকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। রিমান্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন- সন্দেহভাজন আসামি আলাউদ্দিন, কেফায়েত উল্লাহ, নুর হোসেন ও শাহেদুল ইসলাম
মঙ্গলবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সরাফ উদ্দিন আহম্মেদ এ আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে আজ ৮ জনের নাম সুনির্দিষ্ট করেছে নুসরাতের পরিবার। তারা হলেন, মাদ্রাসা অধ্যক্ষ এস এম সিরাজউদ্দৌলা, প্রভাষক আবছার উদ্দিন, সাবেক ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামীম, নুরুদ্দীন, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহমেদ, আব্দুল কাদের ও পৌর কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম।
এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়, আসামিরা অধ্যক্ষের নির্দেশে পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা চালায়। এখন পর্যন্ত পুলিশ অধ্যক্ষসহ আটজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানালেও তাদের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি মাত্র দুজন।
কোর্ট পরিদর্শক গোলাম জিলানী জানান, মাদ্রাসাছাত্রীর গায়ে আগুন দেয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ জনের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন। সাতজনের মধ্যে নুর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন ও সাহিদুল ইসলামকে আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে চারজনকে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
অপর তিনজনের মধ্যে গত ২৭ মার্চ শ্লীলতাহানির ঘটনায় আটক অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোয় তারা অনুপস্থিত থাকায় তাদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি।
প্রসঙ্গত, শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে ওই মাদরাসার কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে সেই ছাত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর জেলা সদর হাসপাতাল, সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ছাত্রী এখন ঢামেকের বার্ন ইউনিটের আইসিউতে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (৭ এপ্রিল) ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পিকেএম এনামুল করিমের নেতৃত্বে তার কার্যালয়ে মাদরাসার গভর্নিং বডির জরুরি সভায় অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজউদ্দৌলাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও আরো ছয়টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
-এএ