মুফতি ফয়জুল্লাহ
ওয়াজ বাংলায় প্রচলিত অতি পরিচিত আরবি শব্দ। অর্থ, উপদেশ, আবেদন, প্রচার,সতর্কীকরণ ইত্যাদি। দীনের এ ওয়াজ গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। তাবলিগ,দাওয়াহ ,নাসিহাহ এবং ওয়াজ একই ইবাদতের বিভিন্ন দিক। সমস্ত আম্বিয়ায়ে কেরামের মূল মিশন, মূল সুর ও মূল আবেদন ব্যাপকতা পেয়েছে এ ওয়াজ, তাবলিগ,দাওয়াত এবং নাসিহাহ এর মাধ্যমে।
নবি গণের ওয়ারিশ (নবিগণের উত্তরাধিকারী হাক্কানি উলামায়ে কেরাম)গণও সে দায়িত্ব পালন করে যাবে এটাই স্বাভাবিক। এ স্বাভাবিকতাকে অস্বাভাবিকতায় রুপ দেয়ার চেষ্টা নিশ্চয় বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
‘ওয়াজ’ ইবাদতের মাধ্যমে অন্যান্য ইবাদাতের কথা আলেম উলামা বলবেন, মানবতার কল্যাণের কথা বলবেন, ইনসাফের কথা বলবেন, সাম্যের কথা বলবেন ,দেশপ্রেমের কথা বলবেন,নারী অধিকারের কথা বলবেন,নারীর বিরুদ্ধে সহংসতার বিরুদ্ধে বলবেন, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলবেন, ব্যভিচারের বিরুদ্ধে বলবেন, মানবাধিকারের কথা বলবেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বলবেন,মাদকের বিরুদ্ধে বলবেন, চুরি ডাকাতি আর দুর্নিতির বিরুদ্ধে বলবেন, সুদ-ঘুসের বিরুদ্ধে বলবেন, অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে বলবেন, ধর্ম ও দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বলবেন, মজলুম মায়ানমার মুসলমানদের পক্ষে বলবেন, মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র খতমে নবুওয়াতের আকীদা হেফাজতে কথা বলবেন, আরো অনেক বিষয়ে বলবেন; বলবেন– কারণ তাই ওয়াজ, তাবলিগ,দাওয়াহ, নাসিহাহ এবং তা বলা তাদের দায়িত্ব,কর্তব্য ও ইবাদত।
এ দায়িত্ব পালন থেকে তাদেরকে কেও সরিয়ে যেমন দিতে পারে না তেমনিভাবে আলেম উলামারাও সে কর্তব্য পালন থেকে অব্যহতি নিতে পারে না, বিরত থাকতে পারে না, নিষ্কৃতি পেতে পারে না।
অতএব মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম সাহেব, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন সাহেব, মাওলানা মামুনুল হক সাহেবসহ হাক্কানি উলামায়ে কেরাম হক ও হাক্কানিয়তের ওয়াজ করবেন।
মনে রাখতে হবে, উলামায়েকেরাম হচ্ছেন নীরব বাঘ। হয়তো তারা নীরব, নিশ্চুপ। তারা জেগে উঠলে তাদেরকে কেও দমন করতে পারেনা। তাদের বুক যখন গুলির জন্য তৈরি হয়ে যায় তখন গুলির সংকট দেখা দেয়। মরার জন্যে যখন তাঁরা তৈরি হয়ে যায় তখন তাদের বেঁচে থাকাকে কেও কেড়ে নিতে পারে না।
তবে হ্যা, যারা দীনি ওয়াজ; ইবাদতকে; বিনোদনের মাধ্যম বানিয়ে নিচ্ছেন তাদের ব্যপারে হাক্কানী উলামায়েকেরামের সমন্বয়ে ভাববার অবকাশ তো রয়েছে। সময় ও ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয় নিয়েও ভাবা যেতে পারে।
-ফেসবুক ভেরিফাইড আইডি থেকে..
-এটি