হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর
পাঠক
ঝরে গেল কাসেমী বাগানের আরও একটি প্রস্ফুটিত গোলাপ। নিভে গেল ইলমী আকাশের এক উজ্জ্বল তারকা। ভারতের ঐতিহ্যবাহী দীনি বিবদ্যযাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দের সিনিয়র মুহাদ্দিস, আশরাফুল হিদায়াসহ দরসে নিজামীর বহু কিতাবের রচয়িতা ও ব্যাখ্যাকার আল্লামা মুফতি জামীল আহমদ রহ. গতকাল এ দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন।
কয়েকটি মাহফিল ও মজলিসে বিশ্বসমাদৃত এ কীর্তিমান মনীষীর মোবারক সান্নিধ্যলাভ ও ঈমানদীপ্ত নসীহত শোনার খোশনসীব আমার হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ!
বছর দেড়েক আগে আমার প্রিয় দীনি এদারা রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদরাসায তিনি তাশরীফ এনেছিলেন। সে সুবাদে আমি এ বুযুর্গ মনীষীর সাথে মুসাফাহা ও কুশল বিনিময়ের সুযোগলাভে ধন্য হই।
তিনি অত্যন্ত সহজ-সরল ও নিরহঙ্কারী ছিলেন। ইতিপূর্বে আরেক সফরে তিনি রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদরাসায় পবিত্র কুরআন মজিদের মর্যাদা নিয়ে যে তাত্ত্বিক আলোচনা করেছিলেন তা যেন আমি এখনো শুনছি।
সে বছর চাকমারকুল মাদরাসায় সফরকালে আমি মুলাকাত করতে গেলে তিনি আমাদের দেশের সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্যের কথা তুলে ধরে বলেন, সত্যিই এ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই মনোমুগ্ধকর।
রামু অফিসের চর স্কুল মাঠে এক মাহফিলে তিনি তাওবা ও তাকওয়া সম্পর্কে হৃদয়গ্রাহী, মার্জিত আলোচনা করেছিলেন। হজরতের আলোচনা ছিল অত্যন্ত গোছালো, গঠনমূলক ও স্বতন্ত্র বর্ণনা শৈলীতে পরিমার্জিত। যা সর্বশ্রেণীর শ্রোতাদের জন্য বোধগম্য ও ফলদায়ক।
দয়াময় আল্লাহ তায়ালা মরহুম এ বুযুর্গ মনীষীকে জান্নাতের আ'লা মকাম নসীব করুন। তার যাবতীয় খেদমাত কবুল করুন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গকে সবরে জামীল দান করুন। আমিন।
আরএম/