মুহাম্মাদ উবায়দুল্লাহ আসআদ কাসেমি: গত ২৭ মার্চ সহিহ বুখারি প্রথম খণ্ডের শেষ পাঠদানে বিদায়ী ছাত্রদের উদ্দেশ্যে দারুল উলুম দেওবন্দের শাইখুল হাদিস ও সদরুল মুদাররিসিন মাওলানা মুফতি সাইদ আহমদ পালনপুরি কয়েকটি অমূল্য নসিহত পেশ করেন। আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের পাঠকদের জন্য বাংলাভাষায় হজরতের অমূল্য সেই নসিহতগুলো তুলে ধরা হলো।
তিনি বলেন, ছাত্র সাধারণত তিন প্রকারের হয়ে থাকে-
১. ভালো ইসতিদাদ ওয়ালা তথা এমন যোগ্যতাসম্পন্ন ছাত্র, যারা কিতাব পড়তে এবং পড়াতে পারে। তাদের ব্যাপারে আমার পরামর্শ হচ্ছে, তাদের জন্য তাখাসসুসাত পড়া জরুরি নয়, বরং তারা দাওরায়ে হাদিস শেষ করেই দীনের খেদমত তথা দরস-তাদরিসে যোগ দেবেন।
২. দ্বিতীয় স্তরের ছাত্রদের জন্য আমার পরামর্শ হল, তারা দাওরায়ে হাদিস শেষ করে-ই তাখাসসুসে ভর্তি হয়ে যাবে, তাহলে দেখবে যোগ্যতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
৩. ঐ সমস্ত ছাত্র- যারা পড়তে এবং পড়াতে পারবে না। তারা আরও একশত বছর পড়লেও কোনো লাভ হবে না। তাদের ব্যাপারে আমার পরামর্শ হল, তারা দাওরায়ে হাদিস শেষ করেই দাওয়াত ও তাবলিগে একবছর লাগাবে। তাহলে মানুষের সাথে কীভাবে লেনদেন করতে হয়, তা শিখতে পারবে। এরপর সে মসজিদে ইমামতি, মুয়াজ্জিনি,ব্যবসা-বাণিজ্য ও মকতবে শিশুদের পড়াবে।
শায়খ পালনপুরি আরও বলেন, যারা যোগ্যতাসম্পন্ন ছাত্র, তারা বিশ বছর অধবি পাঠদান ও মুতালাআর মাধ্যমে নিজেকে ইলমে পাঁকাপোক্ত ও সমৃদ্ধ করার পর দাওয়াতের ময়দানে চিল্লা অথবা সাল লাগাতে পারবে।পাঠদানের পাশাপাশি সাইট বিজনেস তথা দরস-তাদরিসের সাথে সম্পৃক্ত এমন কোন ধরণের ব্যবসাও করতে পারে, তবে মনে রাখতে হবে, ব্যবসার কারণে যেন পাঠদান ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
আরএম/