মুফতি কিফায়তুল্লাহ শফিক
হঠাৎ করে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের সবখানে আগুন আগুন? এগুলোর কারণ কী?
কুরআন-সুন্নাহ অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুসলমান যদি প্রকাশ্য অপরাধে লিপ্ত হয়, অন্যায়-ব্যভিচারে সীমা লংঘন করে মহা প্রতাপশালী আল্লাহ তা’আলা শাস্তি স্বরূপ তাদের উপর তার আযাব ও গজব নাজিল করেন।
অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় সর্বত্র যেভাবে আগুন লাগা শুরু হয়েছে এটি পরম করুণাময় আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে দেশবাসীকে সময় থাকতে সতর্ক হওয়ার সিগন্যাল ছাড়া অন্য কিছু নয়।
এমতাবস্থায় আমরা যদি সময়মত সংশোধন হতে নাপারি আল্লাহ না করুক এমন আগুন জলে উঠতে পারে যে আগুনে সমগ্র বাংলাদেশ পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।
মহান আল্লাহ তা’আলাহ’র অব্যাহত এই আযাব থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সর্বস্তরের মুসলিম নর-নারীকে সকল গুনাহ পরিহার করে ভবিষ্যতে আর না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞার সাথে অনুতপ্ত মনে তাওবা-ইস্তিগফার করতে হবে।
মহান আল্লাহ তা’আলা কুরআন শরীফে সূরাতুল আনফালের ৩৩ নম্বর আয়াতে সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, মুসলমান যতদিন মহান আল্লাহ তা’আলার নিকট ক্ষমা চাইতে থাকবে ততদিন পর্যন্ত মুসলমানের উপর আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে কোন আযাব আসতে পারে না।
আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীসহ সকল দেশপ্রেমিক মুসলমান এর প্রতি বিনীত আনুরোধ করছি, হক্কানী আলেমগণের সাথে পরামর্শ করে আমরা সকলেই সময় থাকতে সংশোধন হয়ে মহান আল্লাহ তা’আলার শাহী দরবারে কায়োমনো বাক্যে ক্ষমা প্রার্থনা করি অন্যথায় আল্লাহ তা’আলাহ’র আযাব থেকে বাঁচার কোন উপায় নাই।
লেখক: কক্সবাজার ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও টেকনাফ আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়ার প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদীস