আওয়ার ইসলাম: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক হলের রুমে উদ্ধার হওয়া নবজাতনের বাবার খোঁজ পাওয়া গেছে। তার নাম রনি।
জানা যায়, তিনিও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাদের দুজনের বাড়ি পাবনায়। একই জেলায় বাড়ি হওয়ার সুবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুজনই হলে থাকার সুযোগে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয় তাদের মধ্যে। সন্তান জন্মের ঘটনার পর থেকে মোবাইল বন্ধ করে রেখেছেন রনি মোল্লা।
তবে বিষয়টি আলোচিত হলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা জানিয়ে সন্তানের পিতৃত্বের দাবি করেছেন রনি।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, আমার সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ওই সন্তানের বাবা আমি। বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটেছে। এ নিয়ে কেউ বাজে মন্তব্য করবেন না।
জানা যায়, ওই ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে রনির। একপর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ছাত্রী। এরপরও বিষয়টি গোপন রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে শনিবার দুপুরে কন্যা সন্তানটি জন্মগ্রহণ করে। প্রসবের পর সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানকে বাক্সে তালাবন্দি করে হাসপাতালে যান তার মা। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অযত্নে অবহেলায় ছিল নবজাতকটি। পরে নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনে বাক্স থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয় বাচ্চাটিকে। কিন্তু তাকে আর বাঁচানো যায়নি।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুজিবর রহমান বলেন, ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে হলে যাই। ছাত্রীরা যখন বলছিল ঘর থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে, তখন ৪২৬নং রুমে গিয়ে ট্রাঙ্কের তালা ভেঙে বাচ্চাকে উদ্ধার করে মেডিকেলে নিয়ে যাই।
এই ঘটনায় তদন্তের জন্য হলের সহকারী আবাসিক শিক্ষক লাবিবা খাতুন তানিয়াকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরআর