আওয়ার ইসলাম: বিংশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ও মুফাক্কিরে ইসলাম শায়খ আবুল হাসান আলী নদভী রহ. প্রতিষ্ঠিত দাওয়াতী, ইসলাহী ও খেদমতে খালকমূলক সংগঠন—রিসালাতুল ইনসানিয়াহ বাংলাদেশের আমীর এবং উচ্চতর ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান—শায়খ আবুল হাসান আলী নদভী ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, ঢাকা'র পরিচালক মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী বলেন, ঈমানবঞ্চিত মানুষদের নিকট ঈমানের দাওয়াত তুলে ধরাই প্রকৃত দাওয়াত। যুগে যুগে নবী-রাসূলগণ এ দাওয়াতী কাজই করেছেন।
তিনি আরো বলেন, পশ্চিমা দুনিয়ায় ইসলাম গ্রহণের হিড়িক পড়ে গেছে। শিক্ষিত ও নামীদামী লোকেরা আজ দলে দলে ইসলামে দীক্ষিত হচ্ছে। তারা ইসলাম নিয়ে গবেষণা করছে। কট্টর রক্ষণশীল অমুসলিমরাও ইসলাম গ্রহন করছে। পশ্চিমা দুনিয়ায় ইসলাম নিয়ে জানার আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে অমুসলিম বিশ্বের নিকট ইসলামের শ্বাশত দাওয়াত তুলের ধরা আলেমদের দায়িত্ব।
এ জন্য আলেমদের বিশ্বমানের দাঈ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে এবং 'তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব' বিষয়ে পান্ডিত্য অর্জন করতে হবে।' আর এ লক্ষেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উচ্চতর ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান—শায়খ আবুল হাসান আলী নদভী ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বিরুলিয়া, ঢাকা।
৯ মার্চ রাতে রিসালাতুল ইনসানিয়াহ বাংলাদেশের দাওয়াহ বিভাগের এক জরুরি সভায় তিনি এ কথাগুলো বলেন।
উক্ত সভায় রিসালাতুল ইনসানিয়াহ বাংলাদেশের দাওয়াহ বিভাগকে আরো সক্রিয় ও গতিশীল করা এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের দাঈ তৈরির উপর বিশেষ জোর দেয়া হয়। দাওয়াহ কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য একটি মজলিসে শূরাও গঠন করা হয়।
সভায় শায়খ আবুল হাসান আলী নদভী ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী চারজন তরুণ আলেম ও গবেষককে সেন্টারের 'রিসার্চ ফেলো' হিসেবে মনোনীত করেন। যারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে সেন্টারের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, চিন্তা-চেতনা ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং দাওয়াহ ও গবেষণা কর্মে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করে সেন্টারের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবেন।
যাদেরকে সেন্টারের 'রিসার্চ ফেলো' সম্মাননা প্রদান করা হয় তারা হলেন—বিশিষ্ট দাঈ মুফতি রিজওয়ানুল হক রাহমানী, মুফতি আবু ইয়ামিন কাসেমী, মাওলানা কামালুদ্দীন ফারুকী এবং মাওলানা আতীকুল্লাহ শহীদ।
আরআর