আশিকুর রহমান: ছোট বা বড় আমাদের অধিকাংশের আছে গ্যাসের সমস্যা।একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত, মসলাযু্ক্ত খাবার খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তিকর গ্যাসের সমস্যা।
আমাদের প্রায় প্রত্যেকের বাসায় গ্যাসের ওষুধ থাকে। অনেকে আবার অনেক পাওয়ারি গ্যাসের ওষুধ খান। কিন্তু এতো ওষুধ সেবন করেও মিলছে গ্যাস থেকে মুক্তি।
এমন কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যা প্রয়োগ করলে আমরা সহজেই পেতে পারি গ্যাস থেকে মুক্তি।
দই. দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।
ঠাণ্ডা দুধ. পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।
শসা. শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
কমলা. কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
পেঁপে. পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।
আদা. আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।
জিরা. জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে। দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে।
লবঙ্গ. ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। অনেকের মুখে দুর্গন্ধ থাকে। একারণে তারা মুখ খুলে কথা বলতে পারে না। বা কথা বলার সময় মানুষ তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। লবঙ্গ শুধু গ্যাসের সমস্যা দূর কতে তা নয় এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
দারুচিনি. হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।
মৌরির পানি. মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি খেলে গ্যাস থাকে না।
পুদিনা ভেজানো পানি. এক কাপ পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই।
এলাচ.লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে থাকে।
যে খাবারগুলোর কথা বলা হল এগুলোর প্রত্যেকটিতে রয়েছে গ্যাস থেকে মুক্তির উপাদান। সময়মতো যেটা আপনার হাতের নাগালে থাকে খেতে পারেন। সবার সবকিছুতে রুচি হয় না। এগুলোর মধ্যে যেটি আপনার ভাল লাগে খেতে পারেন।
খাবারের প্রতি সচেতন হোন। বুঝেশুনে খেতে হবে কোনটি আমাদের জন্য উপকারী আর উপকারী না। খাবারের ওপর নির্ভর করে আমাদের শরীর সুস্থ থাকা।
আইএ