আওয়ার ইসলাম: বউ-শাশুড়ির অপমান সহ্য করতে না পেরে এবার আত্মহত্যা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নববিবাহিত এক শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের নিজ বাসা থেকে রবিউল আলম (২১) নামের ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
রবিউল আলম জাবির রসায়ন বিভাগে অধ্যায়নত ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে সাভার পৌরসভার বাজার রোড এলাকায় বসবাস করতেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করে সংসারে আর্থিক যোগান দিতেন রবিউল। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পর গত ১৬ ডিসেম্বর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
জানা যায়, সাভারের উত্তরপাড়া মহল্লার স্থানীয় বাসিন্দা খোকনের মেয়ে ইতি আক্তারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল রবিউলের। রবিউলের চেয়ে ইতির পরিবার আর্থিকভাবে অনেক স্বচ্ছল। রবিউল মেধাবী হওয়ায় তার সঙ্গে ইতির বিয়ে দেয় ইতির পরিবার। তবে বিয়ের পর রবিউল আরও বেশি আর্থিক সমস্যায় পড়ে যান।
ভাড়াবাসায় বসবাস করা রবিউল চলতি মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে পারছিলেন না। উপায়ন্তর না দেখে শ্বশুরবাড়ি থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া একটি আংটি বন্ধক রেখে ঘরভাড়া পরিশোধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রবিউলের স্ত্রী ইতি ও শাশুড়ি বৃহস্প্রতিবার সকালে রবিউলকে উপহাস করে অপমান করেন।
রবিউলের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে রবিউলসহ তার গোটা পরিবারকে দারিদ্র্যতার জন্য উপহাস করতেন তার স্ত্রী ও শাশুড়ি। অপমান সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেন রবিউল। এর বিচার হওয়ার দরকার।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্ত্রী ও শাশুড়ির অপমানে এ ধরনের আত্মহত্যা খুবই দুঃখজনক। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরআর